নিজের ঘরের অপরাধীকেও ক্ষমা করছি না: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।। প্রথম আলো ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।। প্রথম আলো ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অপরাধ করে আওয়ামী লীগের কেউই পার পাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের দল থেকেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছেন।

কাদের বলেন,‘ অপরাধীদের আওয়ামী লীগে স্থান হবে না। তার অপরাধের বিচার হবে। এরই ধারাবাহিকতায় পাপিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই পাপিয়া গ্রেপ্তার হয়েছে । আমরা নিজের ঘরের অপরাধীকেও ক্ষমা করছি না। ’

আজ বুধবার জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের বলেন, ‘অতীতে কোনো সরকার, কোনো প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি নিজের দলের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি, অপরাধীরা অপরাধ করে পার পেয়ে গেছে, তাদের অপরাধের কোনো বিচার হয়নি।’

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার সারা দুনিয়ায় এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এত দ্রুত বিচার দুনিয়ার কোথাও হয়নি। মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, তারা ক্ষমতায় এলে নতুন করে বিচার করবেন। নতুন করে বিচার করতে গেলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে যাবে।’

অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু পরিবার থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তোমাদের বিশ্বের কোনো বরেণ্য ব্যক্তির আদর্শ থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তোমাদের সামনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর মতো এত সৎ, সাহসী নেতা বাংলাদেশে আর জন্মগ্রহণ করেননি। তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে বিশ্বের তিনজন সৎ, পরিশ্রমী প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একজন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতিটি সদস্য শিক্ষিত, মেধাবী। তাই তোমাদের বঙ্গবন্ধু পরিবারের আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের সংগঠক মাহমুদুস সামাদ, কেএম শহীদুল্লাহ প্রমুখ।