স্কুলছাত্র হত্যায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি। এএফপি
প্রতীকী ছবি। এএফপি

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নে পশ্চিম আহম্মদপুর গ্রামে স্কুলছাত্র আবু সাকের ওরফে শাহীন (১৭) হত্যার দায়ে তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দুই আসামির এক লাখ এবং এক আসামির ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে নোয়াখালীর জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমদ এই দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কাবিলপুর ইউনিয়নের আজিজপুর গ্রামের মো. আবদুল মোতালেব, মোহছেন আলী ওরফে ফারুক ও মইজদীপুর গ্রামের মো. আবদুল কুদ্দুস মাখন। এর মধ্যে প্রথম দুই আসামির যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি এক লাখ টাকা এবং অপরজনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল কুদ্দুস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল মোতালেব ও মোহছেন আলী পলাতক রয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি সেলিনা আক্তার খালাস পেয়েছেন।

মামলার এজাহার ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আবদুল মোতালেব কুয়েত প্রবাসী ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর নাম সেলিনা আক্তার। তাঁদের দুই সন্তানকে প্রাইভেট পড়াত কাবিলপুর হাজি মোকছুদুর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আবু সাকের। সাকেরের সঙ্গে মোতালেবের স্ত্রী সেলিনা আক্তারের অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে মোতালেবের বড় ভাইয়ের স্ত্রী খাদিজা আক্তারের সঙ্গে সেলিনার ঝগড়া হয়। এই ঘটনার জেরে ২০১৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আবদুল মোতালেবের বাড়ির ২০০ গজ পূর্ব-উত্তর পাশের একটি ধান খেতে সাকেরের ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত সাকেরের বাবা মোর্শেদ আলম বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় আবদুল মোতালেব, সেলিনা আক্তার ও খাদিজাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে মামলাটি তদন্ত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তারা তদন্ত শেষে চারজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জামা দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি গুলজার আহমেদ জুয়েল। আর আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আবদুল হক।