চালক কাশেম হত্যাকাণ্ডে একজন রিমান্ডে, মোবাইল উদ্ধার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর শাহআলী এলাকায় গাড়ি চালক আবুল কাশেম (৩৭) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামিকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত বুধবার এ আদেশ দেন।

ওই আসামি হলেন লিটু ব্যাপারী (২২)। তিনি খুলনার খানজাহান আলী থানার যোগীপোল গ্রামের দুলালের ছেলে।

গত ১০ জানুয়ারি শাহআলী থানার বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভেতর থেকে গাড়িচালক আবুল কাশেমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপের দাগ ছিল। এ ঘটনায় নিহত কাশেমের ছোট ভাই আলী হোসাইন বাদী হয়ে অজ্ঞাতব্যক্তিদের আসামি করে শাহআলী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলা দায়েরের ৪৭ দিনের মাথায় আসামি লিটুকে গ্রেপ্তার করে বুধবার ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে শাহআলী থানার পুলিশ।

আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে পুলিশ বলেছে, নিহত কাশেম পরিবার নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বসবাস করতেন। চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা বলে গত ৮ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে বাসা থেকে বের হন কাশেম। পরদিন রাত থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আর বোটানিক্যাল গার্ডেনে কাশেমের লাশ পাওয়া যায় এর পরদিন। কিন্তু কাশেমের মোবাইল ফোন পাওয়া যাচ্ছিল না। যে কারণে ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে নিহত কাশেমের মোবাইল ফোনের কল ডিটেইলস রেকর্ড (সিডিআর) তোলা হয়। সিডিআর বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আসামি লিটু নিহত চালক কাশেমের মোবাইল ফোনে সিম ব্যবহার করে আসছিলেন। কোথা থেকে কাশেমের মোবাইল ফোন আসামি পেলেন, সে ব্যাপারে সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা লিটু দিতে পারেননি।

মোবাইল ফোন পাওয়ার রহস্য এবং কাশেম হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামি লিটুকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। শুনানি নিয়ে আদালত আসামি লিটুকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহআলী থানার পরিদর্শক মো. মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, কাশেম হত্যাকাণ্ডটি একটি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ড। কাশেমের মোবাইল ফোন আসামি লিটুর কাছ থেকে জব্দ করা সম্ভব হয়েছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে লিটুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁরা আশা করছেন, লিটুকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে কাশেম হত্যাকাণ্ডের রহস্য বেরিয়ে আসবে।

মামলার বাদী ও নিহত কাশেমের ভাই আলী হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাই দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছিলেন। তিনি থাকেন গ্রামে। কী কারণে তাঁর ভাইকে খুন করা হয়েছে, সে সম্পর্কে তাঁদের কোনো ধারণা নেই।