বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের দুই প্যাকেজ ঘোষণা

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

এ বছর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ২ মার্চ থেকে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য ‌‘সাধারণ’ ও ‘ইকোনমি’ নামে দুটি হজ প্যাকেজ করা হয়েছে। কোরবানি ছাড়া সাধারণ প্যাকেজে পবিত্র হজ পালন করতে খরচ পড়বে মোট ৩ লাখ ৬১ হাজার ৮০০ টাকা। আর ইকোনমি প্যাকেজের মূল্য ৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের প্যাকেজ ঘোষণা করে।

সংবাদ সম্মেলনে হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন বলেন, এ দুই প্যাকেজের বাইরে প্রতিটি এজেন্সি নিজ নিজ বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে। তবে কোনো প্যাকেজের দামই হাব ঘোষিত সর্বনিম্ন প্যাকেজের চেয়ে কম দামে হতে পারবে না। হজযাত্রীরা নিবন্ধনের সময় বিমানভাড়া বাবদ ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকাসহ সর্বনিম্ন মোট ১ লাখ ৫১ হাজার ১৯০ টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন। তবে হজযাত্রীদের ৩০ মার্চের মধ্যে প্যাকেজের পুরো টাকা অবশ্যই সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সিকে পরিশোধ করতে হবে।

শাহাদাত হোসেন বলেন, কোরবানির খরচ বাবদ প্রত্যেক হজযাত্রীকে কমপক্ষে ৫২৫ সৌদি রিয়ালের সমপরিমাণ ১২ হাজার ৭৫ টাকা আলাদাভাবে নিজ দায়িত্বে সঙ্গে নিতে হবে। চাঁদ দেখাসাপেক্ষে ৩০ জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার হজযাত্রী হজে যেতে পারবেন।

সম্প্রতি সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০২০ সালের জন্য তিনটি হজ প্যাকেজের অনুমোদন দেয় সরকার। এর মধ্যে প্রথম প্যাকেজে খরচ পড়বে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় প্যাকেজে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় প্যাকেজে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

১০ হাজার ওমরাযাত্রী আটকা

করোনাভাইরাস ঠেকাতে সৌদি আরবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ভিসা হওয়ার পরও বাংলাদেশের প্রায় ১০ হাজার মানুষ ওমরাহ করতে যেতে পারছেন না। বুধবার থেকে ওমরাহ ও ভ্রমণ ভিসার যাত্রীদের বিমানে নেওয়া হচ্ছে না।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, সৌদি আরবের ওমরাহ ও ভ্রমণ ভিসায় যেসব যাত্রী আছেন, তাঁদের ফ্লাইটে নেওয়া হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সকালে এ ধরনের যেসব যাত্রী ছিলেন, তাঁদের নেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে হাবের সভাপতি শাহাদাত হোসাইন বলেন, তাঁদের হিসাবে এখন প্রায় ১০ হাজার ওমরাহ ভিসা করা আছে। এই ১০ হাজার ভিসার বিপরীতে প্রায় ৫ হাজার টিকিট কাটা আছে।