বরিশালে স্ত্রীর করা মামলা এএসআই কারাগারে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাঁর নাম ইসা খান। তিনি ভোলা পুলিশ লাইনসে কর্মরত।

গতকাল বৃহস্পতিবার ইসা খান বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ আবেদন নামঞ্জুর তাঁকে কারাগারে পাঠান।

ইসা খানের বাড়ি পটুয়াখালীর মোহাকাঠি গ্রামে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২১ অক্টোবর পারিবারিকভাবে শাহনাজ আফরোজের সঙ্গে ইসা খানের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় স্বর্ণালংকার ছাড়াও ইসাকে মোটরসাইকেল কেনার জন্য নগদ আড়াই লাখ টাকা দেয় শাহনাজের পরিবার। ছয় থেকে সাত মাস ভালোই চলছিল তাঁদের দাম্পত্য জীবন। এর মধ্যে সন্তান সম্ভবা হন শাহনাজ আফরোজ। ওই সময় ইসা খান আরও পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। শাহনাজের পরিবারের লোকজন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শাহনাজকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৯ নভেম্বর বরিশাল পুলিশ লাইনসে ইসা খানের বাসভবনে বসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা হলে তাও ব্যর্থ হয়। সেখানে বসে পুনরায় মারধর করায় শাহনাজের গর্ভপাত ঘটে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হলে শাহনাজকে নিয়ে সংসার করার কথা বলে অভিযোগ তুলে নেওয়ায় ইসা।

সর্বশেষ গত বছরের ১০ আগস্ট অসুস্থতার জন্য শাহনাজ তাঁর ভাইয়ের বাসায় গেলে সেখানে গিয়ে পুনরায় যৌতুকের দাবিতে তাঁকে মারধর করেন ইসা। পুনরায় মীমাংসার চেষ্টা করলে রাজি না হওয়ায় গত ১ জানুয়ারি স্বামী ও তার দুই ভাইকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা করেন শাহনাজ।

ওই মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক ইসা খানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।