মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে টেকনাফে ২১ রোহিঙ্গা উদ্ধার

সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টার সময় কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া থেকে ২১ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের থেকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো
সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টার সময় কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া থেকে ২১ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের থেকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো

সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা সময় কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ার এলাকায় ২১ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ১২ জন নারী ও নয়জন পুরুষ। তাঁরা সবাই উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রথম আলোকে রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী। তিনি আজ শনিবার বলেন, রোহিঙ্গা নাগরিকদের বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে শরণার্থীশিবির থেকে বের করে আনছে একশ্রেণির দালালচক্র। রাতে তাঁদের সাগরে অপেক্ষমাণ বড় জাহাজে তুলে দেওয়ার কথা বলে বাহারছড়ার বিভিন্ন এলাকায় জড়ো করা হয়। এ তথ্য পেয়ে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। অভিযানে ১২ নারী ও ৯ জন পুরুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও দালালচক্রের লোকজনকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আজ তাঁদের যেকোনো সময়ে নিজ নিজ রোহিঙ্গা শিবিরে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

লিয়াকত আলী বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ১৩৮ জন যাত্রী নিয়ে সেন্ট মার্টিনের কাছাকাছি সাগরে মালয়েশিয়াগামী একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় ২১ জনের মৃতদেহ ও জীবিত ৭৩ জনকে উদ্ধার করা হলেও ৪৪ জন নিখোঁজ রয়েছে। এত বড় দুর্ঘটনার পরও কিছুতেই থামছে না সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা। প্রতিদিন কোনো না কোনো পয়েন্ট দিয়ে মালয়েশিয়াগামী যাত্রীদের উদ্ধার করা হচ্ছে।

গত বছরের ১ মার্চ থেকে আজ সকাল পর্যন্ত সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মহেশখালী, উখিয়া, টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন থেকে ৪৪ দফায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ১ হাজার ৭৯ জন শিশু নারী ও পুরুষকে উদ্ধার করা হয়েছেন। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ নারী। এসব ঘটনায় ৪৬ জন দালালের সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। এতে তিনজন রোহিঙ্গা ও ছয়জন বাংলাদেশি।