বান্দরবানে সন্ত্রাসী হামলায় আরও একজনের মৃত্যু

বান্দরবানের জামছড়িমুখপাড়ায় ২২ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রধারীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মারাত্মক আহত আরেক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ওই হামলার ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে হামলা দেখার পর আতঙ্কে এক নারীর মৃত্যু হয়। আহত আরও চারজন ঢাকা ও চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আজ শনিবার ভোরে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য উচথোয়াই মারমার (৬০) মৃত্যু হয়েছে। হামলার পর এক সপ্তাহ চলে গেলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সন্ত্রাসীদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এমনকি কাউকে শনাক্তও করা যায়নি বলে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান।

জামছড়িমুখপাড়াবাসী জানান, গুলিবিদ্ধ উচথোয়াই মারমাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা শেষ না করেই গত বৃহস্পতিবার পরিবারের লোকজন বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেখানে ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তিনি পেটে ও বাহুতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।

রাজবিলা ইউপি চেয়ারম্যান ক্য অং প্রু মারমা জানান, উচথোয়াই মারমাকে আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু জ্ঞান ফেরার পর থেকে তিনি হাসপাতালে থাকতে চাচ্ছিলেন না। এ জন্য পরিবারের লোকজন চিকিৎসকদের অনুমতি নিয়ে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন।

বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের জামছড়িমুখপাড়ায় ১০ থেকে ১২ জনের একদল অস্ত্রধারী ঢুকে প্রথমে ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বা চ নু মারমাকে খোঁজ করতে থাকে। বা চ নু মারমাপাড়ার একটি দোকানে ছিলেন। সেখানেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে আরও পাঁচজন মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ হন। সাবেক ইউপি সদস্য উচথোয়াই গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। জামছড়িমুখপাড়া জেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে।

বান্দরবান সদর থানার ওসি বলেন, উচথোয়াই মারমার লাশের সুরতহাল ও বান্দরবান সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। জামছড়িমুখপাড়ায় হামলকারী সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করা যায়নি। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করা গেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।