পরিচিতদের কথা লুকাতেই টাকা পাচারকারীদের নাম প্রকাশ হয় না: মেনন

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী বিভাগীয় জনসভায় বক্তব্য দেন রাশেদ খান মেনন। ছবি: শহীদুল ইসলাম
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী বিভাগীয় জনসভায় বক্তব্য দেন রাশেদ খান মেনন। ছবি: শহীদুল ইসলাম

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সংসদে ঋণখেলাপিদের নাম প্রকাশের সময় একই সঙ্গে টাকা পাচারকারীদের নামও প্রকাশ করতে হবে। সেখানে অনেক পরিচিত লোকের নামও দেখা যাবে। অনেক পরিচিত নেতা আছেন, যাদের কথা লুকানোর জন্যই টাকা পাচারকারীদের নাম প্রকাশ করা হয় না।

ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী বিভাগীয় জনসভায় রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে শনিবার বিকেলে এক জনসভায় মেনন এসব কথা বলেন।

চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান নিয়ে মেনন বলেন, যখন কেউ ধরা পড়ে তখন বলেন, দল কোনো দায় নেবে না। তাহলে কে দায় নেবে? বনে থাকলে দাপিয়ে বেড়াবেন। আর বনের মধ্যে যখন অন্যায় করে ধরা পড়ে যাবেন তখন বলবেন, দায় নেব না। এই দায় নিতে হবে।

জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। জেলাভিত্তিক বাজেট প্রণয়নের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এলাকায় এলাকায় যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করতে প্রতিটি জেলার আলাদা বাজেট হওয়া প্রয়োজন। শুধু বড় বড় বিল্ডিং উঠে যাওয়া আর প্রশস্ত রাস্তা মানেই বাংলাদেশের উন্নয়ন নয়। প্রত্যেক মানুষের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকারই হচ্ছে উন্নয়ন। এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সংবিধানেই সামাজিক বৈষম্য রোধ করার কথা লেখা আছে। তাহলে কেন জেলা বাজেট করা হবে না?

ফজলে হোসেন আরও বলেন, রাষ্ট্রব্যবস্থার ভেতরে এমন উইপোকা ঢুকে পড়েছে যে, এখন রাজনীতি করে বাড়িতে টাকার গুদাম তৈরি করা যায়। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ‘নো টলারেন্স’ বলা হয়েছিল। শুধু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দেখতে চাই না, নির্দেশের বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, মাহমুদুল ইসলাম ও কামরুল আহসান। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী।