মোদিকে আমন্ত্রণ করায় বঙ্গবন্ধু অপমানে কাঁদছেন: জাফরুল্লাহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ফাইল ছবি
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ফাইল ছবি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব’ বলে আখ্যায়িত করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, মোদিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ করে সরকার জনসাধারণকে তো অপমান করেছেই, সবচেয়ে বেশি অপমান করেছে বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধু কবরে বসে কাঁদছেন।

আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে পতাকা সমাবেশে অংশ নিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন। ২ মার্চ পতাকা দিবস উপলক্ষে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মাসের বেশি সময় ধরে অবস্থানে থাকা শিক্ষার্থী নাসীর আব্দুল্লাহর আহ্বানে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে জাফরুল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করেন, ‘এই মার্চ মাসেই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন—আমি তোমাদেরই লোক। আর আজকে তাঁর দলের সরকার বলছে—আমরা ভারতের লোক।’ ক্ষমা ভিক্ষা করে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে ঢুকবেন—এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের সবার দায়িত্ব হবে জোরদারভাবে বলা যে সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব মোদিকে বাংলাদেশে পা রাখার আগেই ঘোষণা দিতে হবে, সীমান্তে সব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে। যতগুলো হত্যাকাণ্ড হয়েছে, ভারত প্রতিটির ক্ষতিপূরণ দেবে। আমাদের নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা দেবে। ভারতীয় হাইকমিশনের সামনের রাস্তাটিকে তাঁরাই ফেলানী রোড নামে নামকরণ করবে, যাতে অন্যায় আচরণের জন্য তারা যে অনুতপ্ত তা প্রমাণ হবে। এই কাজগুলো না করলে মোদিকে বাংলাদেশের মাটি স্পর্শ করতে দেওয়া উচিত হবে না। ক্ষমা ভিক্ষা করে মোদি বাংলাদেশে ঢুকবেন, তার আগে নিশ্চয়ই নয়।’

সীমান্ত হত্যার বিচারের দাবিতে গত ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ও গণসংহতি আন্দোলনের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কর্মী নাসির আব্দুল্লাহ। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ পতাকা সমাবেশের আয়োজন করেন নাসির।

ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নাহিদ ইসলাম অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন।