সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩৭ রোহিঙ্গা উদ্ধার

কক্সবাজারের রামুর রেজুখাল সেতু সংলগ্ন সমুদ্রসৈকত এলাকা থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩৭জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ।এ সময় সন্দেহভাজন আরও ৩ দালালকে আটক করা হয়েছে।

উদ্ধার করা ব্যক্তিদের মধ্যে ৪ শিশু, ১৭ নারী ও ১৬ জন পুরুষ রয়েছে। তাঁরা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

আজ সোমবার ভোররাত চারটার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের রামু উপজেলার রেজুখাল সেতু সংলগ্ন সমুদ্রসৈকত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। রামুর হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) এসএম আতিক উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আতিক উল্লাহ বলেন, আজ ভোররাতে রামুর রেজুখাল সমুদ্রসৈকত এলাকায় মালয়েশিয়া পাচারের জন্য কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা নাগরিককে জড়ো করা হয়েছে এমন তথ্য পায় পুলিশ। ওই খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল ৩৭জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করে এবং পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্দেহভাজন ৩ জন দালালকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা রোহিঙ্গাদের বিকেলে স্ব স্ব রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আটক দালালদের বিরুদ্ধে রামু থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

গত বছরের ১ মার্চ থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মহেশখালী, উখিয়া, রামু, টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন থেকে ৪৫ দফায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মালয়েশিয়াগামী ১১১৬ জন শিশু, নারী ও পুরুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ নারী। এসব ঘটনায় ৪৯জন দালালের সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ৯জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন রোহিঙ্গা নাগরিক ও ছয়জন বাংলাদেশি রয়েছেন।