দুর্নীতির মামলায় কাস্টমস কর্মকর্তার ১২ বছর কারাদণ্ড

জামালপুরের ধানুয়াকামালপুর স্থলবন্দরে রাজস্ব ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কাস্টমস কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের ১২ বছর এবং ইমারুল হক নামের এক ব্যবসায়ীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জামালপুরের স্পেশাল জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ধানুয়াকামালপুর স্থলবন্দরের সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ব্যবসায়ী ইমারুল হক। রফিকুল ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকার মুখী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আর ইমারুল দিনাজপুরের হাকিমপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি মেসার্স শেরপুর ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী। তিনি কারাগারে রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জামালপুরের ধানুয়াকামালপুর স্থলবন্দরে রাজস্ব ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ১০ লাখ ২২ হাজার ৪৫৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৩ সালের ৬ আগস্ট কাস্টমস কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ব্যবসায়ী ইমারুল হকের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করে। তদন্ত করে ২০১০ সালের ১৫ জুন দুদক দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

আদালতে তাঁরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি রাজস্ব ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ১০ লাখ ২২ হাজার ৪৫৬ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রফিকুল ইসলামকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ লাখ ১১ হাজার ২২৮ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পৃথক আরেকটি ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর ইমারুল হককে তিন বছরের কারাদণ্ড, ৫ লাখ ১১ হাজার ২২৮ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

দুদকের আইনজীবী মো. লুৎফর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পৃথক দুটি ধারায় রফিকুল ইসলামকে ১২ বছর ও ইমারুল হককে তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার শুরু থেকে রফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন। আদালত দণ্ডপ্রাপ্তদের কাছ থেকে আত্মসাৎকৃত সরকারি অর্থ উদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন।