সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব খাতে ঋণ বা বিনিয়োগের ওপর সুদ বা মুনাফার হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন। অর্থসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ তিন বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক ওই সার্কুলার জারি করে। এর বৈধতা নিয়ে মাহফুজুর রহমান নামের এক আইন শিক্ষার্থী আবেদনকারী হয়ে চলতি সপ্তাহে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান।

পরে আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সার্কুলারে শুধু ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের কথা আছে। ব্যাংকঋণের ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ হারে সুদ নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ ব্যাংক নয়, এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কথা সার্কুলারে নেই, যা স্বেচ্ছাচারী। ফলে নন–ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছামাফিক ঋণের বিপরীতে সুদ নিতে পারবে, যা বৈষম্যমূলক। সার্কুলারে আমানতকারীদের বিষয়েও বলা নেই। মৌখিকভাবে বলা হচ্ছে আমানতকারী ৬ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। এতে দুই কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শুধু ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান কেন, নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, এসব যুক্তিতে রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন।

ঋণ/বিনিয়োগের সুদ/মুনাফা হার যৌক্তিকীকরণ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের জারি করা সার্কুলারের ভাষ্য, শিল্প, ব্যবসা ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে অধিক সক্ষমতা অর্জনসহ শিল্প, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, ঋণ-বিনিয়োগ পরিশোধে সক্ষমতা এবং কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলা হয়, ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব খাতে অশ্রেণীকৃত ঋণ/বিনিয়োগের ওপর সুদ/মুনাফা হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।