সুনামগঞ্জে শিশু তুহিন হত্যা মামলার রায় ১৬ মার্চ

তুহিন মিয়া
তুহিন মিয়া

সুনামগঞ্জে নৃশংসভাবে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়াকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় আগামী ১৬ মার্চ ঘোষণা করা হবে। মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ বুধবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত। এই মামলায় আদালতে ২৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

গত বছরের ১৪ অক্টোবর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই দিন সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের লাশ পাওয়া যায়। তুহিনের গলা, দুই কান ও যৌনাঙ্গ কাটা ছিল। পেটে বিদ্ধ ছিল দুটি ছুরি। এ ঘটনায় তুহিনের মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে পরের দিন অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় মামলা করেন।

এই মালায় পুলিশ তুহিনের বাবা আবদুল বাছির (৪০), চাচা নাসির উদ্দিন (৩৫), আবদুল মছব্বির (৪৫) ও জমসেদ আলী (৬০) এবং ১৭ বছর বয়সী চাচাতো ভাইকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ তুহিন হত্যা মামলায় গত ৩০ ডিসেম্বর এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এরপর আদালতে অভিযোগ গঠন হয় ৭ জানুয়ারি। তুহিনের ১৭ বছর বয়সী চাচাতো ভাইয়ের বিচার হচ্ছে শিশু আদালতে। অন্যদের বিচার হচ্ছে জেলা দায়রা জজ আদালতে।

এই মামলায় গত ১৩ জানুয়ারি প্রথম তুহিনের মা মনিরা বেগমসহ পাঁচজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। এরপর পর্যায়ক্রমে মামলার বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। আদালতে তুহিনের মা মনিরা বেগম বলেছেন, ১৩ অক্টোবর রাতে তুহিন তার বাবা আবদুল বাছিরের সঙ্গে একই খাটে ঘুমিয়ে ছিল। তিনি ছিলেন পাশের কক্ষে। গভীর রাতে তুহিনের চাচাতো বোন তাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে জানায়, ঘরের দরজা খোলা। তখন তিনি দেখেন তুহিনের বাবার পাশে তুহিন নেই। পরে সকালে জানতে পারেন, তুহিনকে কে বা কারা হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। কে বা কারা তুহিনকে হত্যার করেছে তিনি জানেন না।

আসামি পক্ষের আইনজীবী বজলুল মজিদ চৌধুরী বলেন, শিশু আদালতে এক আসামির বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। এই আদালতের রায় ঘোষণা হবে ১০ মার্চ। জেলা দায়রা জজ আদালতে অন্যদের মামলার রায় ঘোষণা হবে ১৬ মার্চ।

আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ও রায় ঘোষণার দিন ঠিক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শামসুন্নাহার বেগম শাহানা।