কলেজছাত্রীটিকে মারধর করার কথা স্বীকার করেছে অনিক

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় রিমান্ডে থাকা অনিক জীবন চাকমা পুলিশের কাছে কলেজছাত্রীকে মারধর করার কথা স্বীকার করেছে। এক দিনের রিমান্ড শেষে অনিককে আজ বুধবার খাগড়াছড়ি জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপরিদর্শক (এসআই) পীযূষ কান্তি দে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারকৃত তিন শিক্ষার্থীকে গত সোমবার আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। আদালত শুধু অনিক জীবন চাকমার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অনিক জানান, ওই ছাত্রী ও তিনি একই কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। তাঁর সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে ছাত্রীটি সম্পর্ক রাখবে না বলে জানালে তাঁদের দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় অনিক উত্তেজিত হয়ে ওই ছাত্রীকে চড় থাপ্পড় মারেন। এ সময় অন্য দুই সহপাঠী মুঠোফোনে তা ভিডিও করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনিক জীবন চাকমা সাবলীলভাবে পুলিশের কাছে সব স্বীকার করেছেন। সে চড় থাপ্পড় মারার বিষয়টি স্বীকার করলেও ফেসবুকে ছড়ানোর বিষয়ে কিছুই জানে না বলে জানিয়েছেন। তবে চড় থাপ্পড় মারার সময় তাঁর অন্য দুই সহপাঠী মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেছে বলে স্বীকার করেছেন।

তবে এর আগে প্রথম আলোর এ প্রতিবেদকের কাছে গ্রেপ্তারকৃত তিন শিক্ষার্থী নিহত কলেজছাত্রীকে চিনে না বলে দাবি করেছিল।

গতকাল রোববার সকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় উদালবাগান এলাকায় বাড়ির কাছে আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সকালে জোড়াব্রিজ এলাকার অনিক জীবন চাকমা, কামাকুছড়া এলাকার সুমন্ত চাকমা ও শান্তিপুর এলাকার জয়েশ চাকমাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় তাঁর বড় ভাই বাদী হয়ে এই তিন শিক্ষার্থীকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।