গোপালগঞ্জে কুপিয়ে পরিবহনশ্রমিককে হত্যা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গোপালগঞ্জে কুপিয়ে ও দুই হাতের রগ কেটে গোলাম মওলা কাজী (৩০) নামের এক পরিবহনশ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ ও মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে তাঁর খালাতো ভাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর লেকপাড়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত গোলাম মওলা কাজী ঘোষেরচর কলাবাগান এলাকার মৃত আবদুল মান্নান কাজীর ছেলে।

নিহত গোলাম মওলা কাজীর বড় ভাই গাড়িচালক মনির কাজী অভিযোগ করেন, তাঁর আপন খালাতো ভাই সাদেক খান ও আলামিন খান তাঁর ছোট ভাই মওলা কাজীকে মোবাইল ফোনে লেকপাড়ে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অপেক্ষারত চার-পাঁচজন দুর্বৃত্ত গোলাম মওলার ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে গুরুতর জখম করে। তারা তাঁর দুই হাতের রগ কেটে লেকের মধ্যে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

গোলাম মওলার ভাই মাসুদ কাজী বলেন, জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ ও মাদক ব্যবসায়ে বাধা দেওয়ার কারণে খালাতো ভাই সদর উপজেলার মাঝিগাতী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের ইসলাম খানের ছেলে সাদেক খান ও আলামিন খানের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে তাঁরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গোলাম মওলাকে হত্যা করেছে।

গোপালগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, লাশের সুরতহাল সম্পন্ন হয়েছে। গোলাম মওলার দুই হাতের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। পাশপাশি তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গোপালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, গোলাম মওলা কাজী পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। গোপালগঞ্জ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ ও মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।