মশকনিধন কার্যক্রমে ১১টি তদারকি দল

আইন অনুযায়ী আগামী মে মাসে ডিএনসিসির দায়িত্ব বুঝে নেবেন নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম। তবে এর আগেই চলতি মার্চ মাসের মধ্যেই মশা নিয়ন্ত্রণ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া যেসব বাড়ি ও স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়া যাবে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল-জরিমানা করা এবং মশকনিধনের কাজে কর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন মেয়র।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে ডিএনসিসির মশক নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত এক জরুরি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘মশা নিয়ন্ত্রণে সম্ভাব্য সবকিছু করতে হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে আমরা মশামুক্ত শহর দেখতে চাই। মশকনিধনকারী কর্মীরা যাতে ঠিকমতো কাজ করেন, এ জন্য তাঁদের তদারক করতে হবে। অনেক কর্মী ঠিকমতো কাজ করেন না।’ মশকনিধনে কর্মী, ওয়ার্ড সচিব, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, কাউন্সিলর—সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে বলে জানান তিনি।
গতকাল ডিএনসিসির সভায় ওয়ার্ড পর্যায়ের মশকনিধন কার্যক্রম তদারকিতে ১১টি দল কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী রোববার থেকে তারা কাজ শুরু করবে। প্রতিটি দল প্রতিদিন কার্যক্রম শেষে ডিএনসিসিতে প্রতিবেদন জমা দেবে।

এ বিষয়ে আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এখন চেয়ারে বসছি না ঠিকই, কিন্তু কাজ করতেই পারি। ডেঙ্গুর বিষয়টি এখনকার সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা। মে মাসে দায়িত্ব বুঝে নেব। কিন্তু তখন ডেঙ্গুর ভরা মৌসুম থাকবে। এ জন্য কাজগুলো ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা দেখতে তদারক করতে পারি। রোববার থেকে সব ওয়ার্ডে ঠিকমতো কাজ হচ্ছে কি না, তদারক করব।’

ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. জামাল মোস্তফা এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান, স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ওয়ার্ডের সচিবেরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া সকালের দিকে মশকনিধনকারী কর্মীদের কার্যক্রম নিয়ে উত্তরার বিভিন্ন সেক্টরের কল্যাণ সমিতির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ডিএনসিসির নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম। উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের বাংলাদেশ ক্লাবে এই সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় মশকনিধন কার্যক্রম ও মশকনিধনকারী কর্মীদের পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রতিটি সেক্টরে কল্যাণ সমিতির নেতাদের সমন্বয়ে একটি পর্যবেক্ষণ দল গঠন করা হয়। পর্যবেক্ষণ দলের সদস্যরা প্রতিদিন সিটি করপোরেশন মশকনিধনকারী কর্মীদের ওষুধ ছিটানো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন।