কলকাতা উপহাইকমিশনে ঐতিহাসিক সাতই মার্চ পালিত

কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে ঐতিহাসিক সাতই মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত হয় আলোচনা সভা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে ঐতিহাসিক সাতই মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত হয় আলোচনা সভা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে ঐতিহাসিক সাতই মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে উপহাইকমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। কালজয়ী সেই ভাষণে বজ্রকণ্ঠে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।

আজ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণের তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে উপহাইকমিশনে আলোচনা সভার সূচনা করা হয়। এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

বাণীপাঠের পর শুরু হয় আলোচনা সভা।

কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় অংশ নেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দীন ইউসুফ, কলকাতার প্রবীণ লেখক-সাংবাদিক শমিক বন্দ্যোপাধ্যায়, আকাশবাণীর সাবেক আঞ্চলিক অধিকর্তা ও কবি পঙ্কজ সাহা, উপহাইকমিশনের হেড অফ চ্যান্সারি বি এম জামাল হোসেন, কাউন্সিলর (শিক্ষা) শফিউল ইমাম, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) সঞ্জিদা জেসমিন প্রমুখ।

আজ আলোচকেরা স্বাধীতাযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক গুরুত্বের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। সেই আলোচনায় উঠে আসে এক বীর বাঙালির স্বাধীনতাযুদ্ধে মহান আত্মত্যাগের নানা কথা। বলেন, এই ক্ষণজন্মা মানুষটির জন্ম না হলে বিশ্বের বুকে বাঙালিদের জন্য ‘বাংলাদেশ’ নামের একটি আলাদা রাষ্ট্রের অভ্যুদয় হতো না। তিনি বাংলাদেশের স্থপতি। সবার বঙ্গবন্ধু। বাঙালি জাতির পথপ্রদর্শক। বাঙালি জাতির পিতা।

২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো। এবারও তাই বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে দিনটি বিশেষ তাৎপর্য নিয়ে পালিত হয়েছে।