বিচারক ফিরে পেলেন খোয়া যাওয়া ব্যাকপ্যাক, দিলেন ক্রেস্ট

রাজধানীর নিউ ইস্কাটন থেকে ল্যাপটপ, কামেরা ও মুঠোফোন খোয়া যাওয়ার তিন দিনের মাথায় গত ২ মার্চ সাভার থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ল্যাপটপ ও ক্যামেরা বরিশালের বিভাগীয় স্পেশাল জজ মহসিনুল হকের। তিনি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও।

আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে উদ্ধার করা এসব মালামাল মহসিনুল হকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মহসিনুল হক আজ প্রথম আলাকে বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে বিচারক মহসিনুল হক দিলু রোডে একটি রিকশা থেকে নেমে বাসায় ঢোকেন। এ সময় তাঁর মনে পড়ে তিনি একটি ব্যাকপ্যাক রিকশায় ফেলে এসেছেন। এক মিনিটের মধ্যেই তিনি বাসার সামনে এসে দেখেন রিকশাটি নেই। এরপর একটি মোটরসাইকেলে বেরিয়ে রিকশাচালককে খুঁজে পাননি তিনি। পরে তিনি ওই ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ব্যাকপ্যাকে ছিল ল্যাপটপ, কামেরা, মুঠোফোন ও কিছু নথিপত্র।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার আজ প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর বিভিন্ন সড়কের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ দেখতে পায় রিকশাচালক তাঁর রিকশাটি গ্যারেজে রাখেন। এরপর তাঁর অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। পরে রিকশা গ্যারেজের মালিকের মাধ্যমে রিকশাচালকের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায় তিনি গাইবান্ধায় আছেন। গ্যারেজের মালিকের পরামর্শে সাভার থানায় ব্যাকপ্যাকটি পাঠিয়ে দেন ওই রিকশাচালক। সেখান থেকে হাতিরঝিল থানার পুলিশ ব্যাকপ্যাকটি উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে আজ দুপুরে তাঁর কার্যালয় বিচারক মহসিনুল হক হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক খায়রুল আলম ও সহকারী উপপরিদর্শক তরিকুল ইসলামকে একটি করে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, অভিযুক্ত রিকশাচালককে আটকের চেষ্টা চলছে।