কর্ণফুলী টানেলের ৫১ শতাংশ কাজ সম্পন্ন: সেতুমন্ত্রী

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের কাজ পরিদর্শন করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: ফোকাস বাংলা
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের কাজ পরিদর্শন করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: ফোকাস বাংলা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের কাজ দীর্ঘায়িত হবে না। ইতিমধ্যে টানেলের ৫১ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে এই টানেল পুরোপুরি আলোর মুখ দেখবে বলে তিনি আশা করছেন।

আজ রোববার চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেলের নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ১০ হাজার ৫০০ সেগমেন্টের মধ্যে প্রায় অর্ধেক সেগমেন্ট টানেলে স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ টানেল নির্মাণে বাংলাদেশ সরকার ৪ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা দিচ্ছে। বাকি ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা চীন সরকার ব্যয় করছে।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম উপস্থিত ছিলেন।

করোনাভাইরাসের কারণে কর্ণফুলী টানেলে কর্মরত চীনা নাগরিকেরা এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা সময় ক্ষেপণের কারণ সৃষ্টি করেনি বলে জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, হয়তো করোনাভাইরাসের ব্যাপারটি দীর্ঘায়িত হলে তখন ব্যাপারটা অন্যদিকে কিছুটা মোড় নিতে পারে। তবে এখানে কর্মরত চীনা নাগরিকদের সংখ্যা খুব বেশি নয়।

২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে দলীয়ভাবে কী ভাবছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঢাকায়ও বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। প্রথমে যতটা ছিলেন, শেষ পর্যন্ত ততটা বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন না। ১৭২ জনের মধ্যে কমতে কমতে মাত্র ১৫ জন ছিলেন, যাঁরা জয় লাভ করেছেন। চট্টগ্রামেও আমি উদ্বেগের কোনো কারণ দেখি না। যেটুকু সমস্যা আছে, আশা করি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’

কেন্দ্রীয়ভাবে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে একটা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সমস্যা চট্টগ্রামেই যাঁরা দায়িত্বরত আছেন, তাঁরাই সমাধান করবেন। কেন্দ্র থেকে কোনো পরামর্শ প্রয়োজন হলে দেওয়া হবে।