চবিতে ছাত্রী নিপীড়নের দায়ে ছাত্র বহিষ্কার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার দায়ে এক ছাত্রকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রবীর ঘোষ নামের ওই শিক্ষার্থী যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর বিভাগের শিক্ষার্থী। আজ রোববার দুপুরে ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।

উপাচার্য শিরীণ আখতারের নির্বাহী ক্ষমতাবলে বহিষ্কারের এ আদেশ দেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন পেশ করা হবে।

বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শারীরিক লাঞ্ছনার পাশাপাশি ওই শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করে আসছিলেন। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারাদেশ চলাকালে প্রবীর ঘোষ ক্যাম্পাসের আবাসিক হল অথবা ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না। এ আদেশ অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।

১ মার্চ ক্যাম্পাসের কাটা পাহাড়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে গায়ে রং মেখে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন প্রবীর ঘোষ। পরে ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা তাঁকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে ৪ মার্চ জামিনে বের হয়ে যান তিনি। পাশাপাশি গত বৃহস্পতিবার বিভাগের স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষার্থীরা প্রবীরের ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানিয়ে স্ট্যাটাস দেন। সর্বশেষ আজ রোববার ছাত্রত্ব বাতিলের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবির মুখে প্রবীর ঘোষকে এক বছরের বহিষ্কার করা হয়।