মাস না পেরােতেই বেরিয়ে আসছে পাথর

নাটোরের সিংড়া উপজেলার বোয়ালিয়া-বামিহাল রাস্তা সংস্কারের পর উঠে যাচ্ছে  পাথর।  ছবি: প্রথম আলো
নাটোরের সিংড়া উপজেলার বোয়ালিয়া-বামিহাল রাস্তা সংস্কারের পর উঠে যাচ্ছে পাথর। ছবি: প্রথম আলো

দীর্ঘ দুর্ভোগের পর নাটোরের সিংড়া উপজেলার বোয়ালিয়া-বামিহাল পর্যন্ত সোয়া চার কিলোমিটার পাকা সড়কের সংস্কারকাজ শেষ হয় গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। কিন্তু মাস না পেরোতেই রাস্তার কার্পেটিংয়ের পাথর উঠে যাচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংস্কারকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় রাস্তাটির এমন বেহাল দশা।

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে গ্রামীণ রাস্তা মেরামত প্রকল্পের আওতায় রনবাঘা জিসি থেকে বোয়ালিয়া-বামিহাল পর্যন্ত ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা চুক্তিমূল্যে সোয়া ৪ কিলোমিটার পাকা রাস্তা সংস্কারের কাজ পান রংপুরের ঠিকাদার খাইরুল কবির। ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে সংস্কারকাজ শুরু হওয়ার পর মাঝামাঝি সময়ে সংস্কারকাজ শেষ হয়।

গত শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের বোয়ালিয়া ও লক্ষ্মীখোলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সংস্কার করা রাস্তার পাথর সরে গেছে পিচ থেকে। যানবাহনের চাকার আঘাতে পাথর জমে থাকছে রাস্তার দুই পাশে। এরই মধ্যে কোথাও কোথাও ছোট ছোট গর্ত হয়ে গেছে। সেই গর্ত দিয়ে রাস্তার আগের অবস্থা চোখে পড়ছে। রাস্তার ছবি তোলার সময় স্থানীয় লোকজন কথা বলার জন্য এগিয়ে আসেন। তাঁরা সবাই সংস্কারকাজে নিম্নমানের বিটুমিন ও পাথর ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন।

সুকাশ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, দুই সপ্তাহের মধ্যে চার কিলোমিটার রাস্তার মেরামতকাজ শেষ করেছেন ঠিকাদারের লোকজন। ফলে সংস্কারকাজের জন্য রাস্তায় খোয়া বিছানো, পরিষ্কার করা ও রোলার করার মধ্যে অনিয়ম ছিল। এ ছাড়া ভালো বিটুমিন ব্যবহার করা হয়নি। তাই সংস্কারকাজ শেষ হওয়ার পরপরই পাথর উঠে যেতে শুরু করেছে।

 কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী বিপ্লব আলী বলেন, কাজে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। সেগুলো দ্রুতই সংস্কার করে দেওয়া হবে।