জবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: একজন রিমান্ডে

গ্রেপ্তার আনোয়ার হোসেন। তাঁকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। ছবি: প্রথম আলো
গ্রেপ্তার আনোয়ার হোসেন। তাঁকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। ছবি: প্রথম আলো

পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে একজনকে তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর নাম আনোয়ার হোসেন আনা।

আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তাঁকে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। আদালত তিন দিন মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। ঢাকা মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় তাৎক্ষণিক সংবাদ পেয়ে আসামিদের গ্রেপ্তারের কাজ শুরু করে পুলিশের একাধিক চৌকস দল। প্রায় ১০০টি সিসি ক্যামেরা পর্যালোচনা করে গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মধ্যে চালক আনোয়ার হোসেন আনা (২৯)কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি, খুন সহ আরও চারটি মামলা রয়েছে। এ সময় যে মোটরসাইকেলে করে তারা এসেছিল, সেটিও আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হই। ইতিমধ্যে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অপরাধীকে শনাক্ত করেছেন।'

হুমায়ুন কবির বলেন, অপর আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। তাঁরা সম্পর্কে মামা-ভাগনে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ওই ছাত্রী বাসা থেকে বেরিয়ে নাটকের রিহার্সালে অংশ নিতে ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন। পথে কলতাবাজার খাদ্যগুদাম এলাকায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী ওই ছাত্রীর পথ রোধ করে উত্ত্যক্ত ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় আশপাশের দোকানের ব্যবসায়ী, ক্রেতা, পথচারীসহ অসংখ্য মানুষ উপস্থিত থাকলেও কেউ বখাটেদের প্রতিহত করতে এগিয়ে আসেননি। পরে ছাত্রী দ্রুত ক্যাম্পাসে পৌঁছে বন্ধুদের ঘটনাটি জানান। পরে প্রক্টর দপ্তরে অভিযোগ করেন। প্রক্টর দপ্তর ঘটনাটি থানায় জানালে পুলিশের তৎপরতায় ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়। ফুটেজে শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছনার ঘটনা ধরা পড়ে। পরে দুপুরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সূত্রাপুর থানায় দুই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে মামলা করেন।