ইতালিফেরত ব্যক্তিরা বিব্রত

শরীয়তপুর
শরীয়তপুর

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের এক বাসিন্দা ইতালির তুরিন শহরে থাকেন। ১ মার্চ এক মাসের ছুটিতে গ্রামে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার শরীর ভালো আছে। বিমানবন্দরে আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি। গ্রামে আসার পর কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি। আমি এসেছি জেনে কোনো আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব দেখা করতে আসছেন না। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে বেশির ভাগ সময়ই বাড়িতে থাকছি।’

গত এক সপ্তাহে ইতালির বিভিন্ন শহর থেকে নড়িয়ায় এসেছেন এমন সাত ব্যক্তির সঙ্গে গতকাল সোমবার কথা হয় প্রথম আলোর। তাঁদের অধিকাংশের অভিজ্ঞতা প্রায় একই রকম। ইতালিতে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ও দুজন ইতালিফেরত ব্যক্তির বাংলাদেশে এসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবরে ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে। দেশে আসা ব্যক্তিরাও এলাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছেন।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, শরীয়তপুর জেলার অন্তত দেড় লাখ মানুষ প্রবাসে থাকেন। তাঁদের অধিকাংশ ইতালিতে বসবাস করেন। এর মধ্যে নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের রয়েছেন প্রায় ৭০ শতাংশ। ইতালিপ্রবাসীরা নিয়মিত নড়িয়ায় যাতায়াত করছেন।

কোনো ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলে বা উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত তাঁকে চিকিৎসার আওতায় নেওয়ার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঁচ শয্যার ও প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ শয্যার করে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। এ ছাড়া কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য ১০০ শয্যা প্রস্তুত করার কাজ চলছে। নড়িয়ার নিতিরা গ্রামের সিরাজ সরদারের ছেলে রুবেল হাওলাদার ১০ বছর ধরে থাকেন ইতালির ভেনিসে। তিনি সেখানে একটি জাহাজের শ্রমিক। ইতালির করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর পরিবার উদ্বিগ্ন।

শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, ‘ইতালি থেকে শরীয়তপুরে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা তাঁদের খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এ ছাড়া আক্রান্ত লোকজনের আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’