৩ বিমানবন্দরে বসেনি নতুন থার্মাল স্ক্যানার, পুরোনোটা অচল

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাধারণ যাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত একটি স্ক্যানার সোমবার রাতে নষ্ট হয়ে গেছে। ফাইল ছবি
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাধারণ যাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত একটি স্ক্যানার সোমবার রাতে নষ্ট হয়ে গেছে। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দরে পাঁচটি থার্মাল স্ক্যানার বসানোর কথা বলেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে বেনাপোল স্থলবন্দর ছাড়া তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য নতুন কোনো থার্মাল স্ক্যানার আসেনি। ফলে, তিন বিমানবন্দরে কোনো থার্মাল স্ক্যানার বসেনি। উল্টো শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাধারণ যাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত একটি স্ক্যানার গতকাল সোমবার রাতে নষ্ট হয়ে গেছে।

তবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিআইপি যাত্রীদের জন্য বসানো স্ক্যানারটি সচল আছে। বর্তমানে বিদেশফেরত সাধারণ যাত্রীদের হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটার দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেছিলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের অংশ হিসেবে দেশে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দরে পাঁচটি নতুন স্ক্যানার মেশিন বসানো হবে। এদিন মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আইইডিসিআরের কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, পাঁচটি নতুন থার্মাল স্ক্যানারের মধ্যে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি করে এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরে একটি করে থার্মাল স্ক্যানার বসানো হবে।

নতুন থার্মাল স্ক্যানারের বিষয়ে জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগের স্ক্যানারগুলোই তো নষ্ট। শাহজালাল বিমানবন্দরে তিনটি থার্মাল স্ক্যানার রয়েছে। এর মধ্যে দুটি নষ্ট।’ তিনি বলেন, ‘নতুন থার্মাল স্ক্যানার বসানোর কথা বলা হলেও আমরা সেগুলো পাইনি। তা ছাড়া সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের থার্মাল স্ক্যানারগুলো আগে থেকেই নষ্ট হয়ে আছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।’

এদিকে বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য থার্মাল স্ক্যানারটি আনা হয়েছে। সেটি গতকাল রাতে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছেছে। আজ সেটি বসানোর কাজ শুরু হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এটি বসানোর জন্য বেনাপোল স্থলবন্দরে গেছেন। তবে কখন থেকে নতুন স্ক্যানার দিয়ে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হবে, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইউসুফ আলী আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নতুন স্ক্যানারটি গতকাল রাতে বেনাপোলে এসেছে। আমরা এখন সেটি বসাতে সেখানে যাচ্ছি।’

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘বিমানবন্দরে বিদেশফেরত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জনবলসংকট রয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লোক কম থাকায় আমরা সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাকর্মী দিয়ে তাদের সহায়তা করছি। কারণ, একসঙ্গে একাধিক ফ্লাইট এলে দীর্ঘ লাইন পড়ে। সার্বিক সব বিষয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।’