শিশু তুহিন হত্যায় কিশোর চাচাতো ভাইয়ের ৮ বছরের কারাদণ্ড

তুহিন মিয়া
তুহিন মিয়া

সুনামগঞ্জে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়া হত্যা মামলায় তার ১৭ বছর বয়সী কিশোর চাচাতো ভাইকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার সুনামগঞ্জের শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন।

তুহিন হত্যার ঘটনায় তার মা মনিরা বেগমের দায়ের করা মামলায় পাঁচ আসামির মধ্যে তার চাচাতো ভাই শিশু হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে হয়েছে। একই মামলায় আরও চার অভিযুক্ত তুহিনের বাবা আবদুল বাছির (৪০), তিন চাচা নাসির উদ্দিন (৩৫), আবদুল মছব্বির (৪৫) ও জমসেদ আলীর (৬০) বিচার হচ্ছে সুনামগঞ্জে দায়রা জজ আদালতে। ওই আদালতে মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য আছে আগামী ১৬ মার্চ।

শিশু আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নান্টু রায় বলেন, মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এবং সে শিশু হওয়ায় তাকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ১৮ বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত সে কিশোর সংশোধনাগারে থাকবে। পরে তাকে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হবে। তিনি এই মামলার বিচার কার্যক্রম ও রায় দ্রুত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

গত বছরের ১৪ অক্টোবর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। তুহিনের গলা, দুই কান ও যৌনাঙ্গ কাটা ছিল। পেটে বিদ্ধ ছিল দুটি ছুরি। এ ঘটনায় তুহিনের মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে পরের দিন অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় মামলা করেন। এই মালায় পুলিশ তুহিনের বাবা, তিন চাচা ও এক চাচাতো ভাইকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ তুহিন হত্যা মামলায় গত ৩০ ডিসেম্বর এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন হয় ৭ জানুয়ারি। ৪ মার্চ আদালতে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।