ক্লিনিকে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে গেলেন স্বামী

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় একটি ক্লিনিকে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে গেছেন স্বামী। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার কেরানীহাটের আশ্‌ শেফা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধূর নাম হিরু আকতার (২৭)। আজ মঙ্গলবার সকালে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ, গৃহবধূর স্বজন ও ক্লিনিক সূত্রে জানা গেছে, ছয়-সাত বছর আগে হিরু আকতারের সঙ্গে উপজেলার কেঁওচিয়া তেমুহানীর শাহ আলমের বিয়ে হয়। তাদের দুটি ছেলে সন্তান আছে। গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শাহ আলম তাঁর মা ও ছোট ভাইকে স্ত্রী ডায়রিয়াজনিত কারণে অজ্ঞান হয়েছে জানিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। পরে মা, ছোট ভাই ও তিনি অটোরিকশায় করে হিরু আক্তারকে কেরানীহাটের আশ্ শেফা হাসপাতালের সামনে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে শাহ আলম কৌশলে পালিয়ে যান। দীর্ঘ সময় পরও শাহ আলম ফিরে না আসায় মা ও ছোট ভাই হিরু আক্তারকে ক্লিনিকের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত গৃহবধূর ছোট ভাই মো. লোকমান প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেন, ‘কিছুদিন আগে বোন জামাই শাহ আলম এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ হয়। এর জের ধরে গতকাল দিবাগত রাতে শাহ আলম আমার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ডায়রিয়ায় মারা গেছেন বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।’

সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, হিরু আকতারের গলার দাগ দেখে এবং স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখেই স্বামীর পালিয়ে যাওয়ার কারণে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে আজ সকালে হাসপাতাল থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

মো. আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহ আলমের মা কুলছুমা বেগম ও ছোট ভাই মো. ফারুককে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। ওই গৃহবধূর পলাতক স্বামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।