নোয়াখালীতে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে আইসোলেশন ইউনিট

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

নোয়াখালীতে করোনাভাইরাস নিয়ে সরকারি প্রস্তুতি হিসেবে জেলা পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হলেও উপজেলা কমিটিগুলো এখনো গঠিত হয়নি। জেলা সদরে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের নিচতলায়।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে র‌্যাপিড রেসপন্স টিম ও হাসপাতালে কোভিড-১৯ ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠনের কথা থাকলেও এখনো তা হয়নি। প্রশিক্ষণ পায়নি চিকিৎসক, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরাও।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের চার তলা ভবনের নিচ তলায় একটি কক্ষে খোলা হয়েছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসোলেশন ইউনিট। চার বেডের ওই ইউনিটের ভেতরের মেঝে দেখা গেছে অপরিষ্কার। টয়লেটের অবস্থাও একই। গতকাল সোমবার এই ইউনিট খোলা হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক মো. খলিল উল্লাহ।

এক প্রশ্নের জবাবে খলিল উল্লাহ বলেন, হাসপাতালের পুরাতন ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ায় বর্তমানে নতুন অস্থায়ী ভবন এবং আগের দুইটি ভবনে জোড়াতালি দিয়ে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। হাসপাতালে বর্তমানে যে পরিবেশ-পরিস্থিতি তাতে এখানে এমনিতেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী রাখার মতো অবস্থা নেই। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করেছেন বলে জানান।

জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জেলা পর্যায়ে ইতিমধ্যে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস আর সদস্যসচিব সিভিল সার্জন মো. মোমিনুর রহমান। এই কমিটি গতকাল সোমবার প্রথম বৈঠক করেছে। বৈঠকে জেলার সবগুলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসোলেশন ইউনিট খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

জেলা সিলিভ সার্জন মো. মোমিনুর রহমান জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস বিষয়ে চিকিৎসকদের কয়েকজন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা এখনো প্রশিক্ষণ পাননি। তবে সব উপজেলায় নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ভাইরাসটি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

সিভিল সার্জন বলেন, জেলা ও উপজেলায় র‌্যাপিড রেসপন্স টিম এবং হাসপাতালে কোভিড-১৯ ম্যানেজমেন্ট কমিটি এখনো গঠিত হয়নি। উপজেলা পর্যায়ে গাউন, মাস্ক ও অন্যান্য সামগ্রীর স্বল্পতা রয়েছে। সদর উপজেলা ছাড়া বাকি আটটি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে।