বগুড়ায় 'বন্দুকযুদ্ধে' তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী নিহত

কবির হোসেন ওরফে মিনকো। ছবি: সংগৃহীত
কবির হোসেন ওরফে মিনকো। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় দুই দল সন্ত্রাসীদের মধ্যে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধ’ কবির হোসেন ওরফে মিনকো (৩৯) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে বগুড়া শহরের ভাটকান্দি করতোয়া নদীর ওপর সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়।

নিহত কবির হোসেন বগুড়া শহরের চকফরিদ কলোনি এলাকার আজিজুল হকের ছেলে।

পুলিশ দাবি করেছে, কবির হোসেন ওরফে মিনকো পুলিশের নথিতে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। বগুড়া সদর ও শাজাহানপুর থানার একটি জোড়া খুনসহ চারটি হত্যা ও তিনটি অস্ত্র মামলাসহ হত্যা চেষ্টা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দেড় ডজনের বেশি মামলার আসামি তিনি।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী দাবি করেন, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহরের মালতীনগর ভাটকান্দি করতোয়া সেতু এলাকায় দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামানসহ পুলিশের একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় সেখানে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও দাবি করেন, ঘটনাস্থল থেকে আটটি গুলিভর্তি একটি বিদেশি রিভলবার, একটি ওয়ান শুটার গান, একটি লম্বা চাপাতি এবং একটি অত্যাধুনিক বর্মিজ চাকু উদ্ধার হয়েছে।

পুলিশের ভাষ্যমতে, নিহত কবির হোসেন মিনকো ছিলেন বগুড়া শহরের দক্ষিণ এলাকার অপরাধ জগতের ত্রাস। শহরের কলোনি, বনানী, ঠনঠনিয়া, ভাটকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। খুন-হত্যা ছিল তাঁর কাছে ডালভাত। টাকার বিনিময়ে দুর্ধর্ষ ভাড়াটে খুনি হিসেবে অপরাধ জগতে পরিচিতি ছিল তাঁর। ছিলেন চাঁদাবাজি, অপহরণেও সিদ্ধ হস্ত। রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় দেদারসে নানা অপরাধ করেছেন তিনি। ফলে একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েও বেশি দিন কারাগারে থাকতে হয়নি তাঁকে। সর্বশেষ একটি মামলায় গত বছরের প্রথমদিকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন তিনি। কয়েক মাস হাজতবাসের পর জামিনে বের হয়ে আবারও নানা অপরাধে জড়ান। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে বগুড়া সদর এবং শাজাহানপুর থানায় হাফ ডজন সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।