করোনায় সিলেটে দুই হাসপাতালকে আইসোলেশন ইউনিট ঘোষণা

সিলেটের দুটি হাসপাতালকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন ইউনিট ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা পর্যায়ে কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে ১ মার্চ করোনা মোকাবিলার জন্য সিলেট জেলা কমিটি গঠন করা হয়।

১১ সদস্যের কমিটিতে জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা আছেন। গত রোববার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা পর্যায়ের কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সিলেটের দুটি হাসপাতালের মোট ১২০ শয্যা আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ শয্যার সিলেট শহীদ ডা. শামসুদ্দীন আহমদ হাসপাতাল ও ২০ শয্যার সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে শহরতলির খাদিমনগরের ৩১ শয্যার হজরত শাহপরান (রহ.) হাসপাতালও আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে ব্যবহৃত হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ৪-৫টি শয্যা বরাদ্দ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও সিলেটের তিনটি স্থলবন্দর গোয়াইনঘাটের তামাবিল, বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দর ও জকিগঞ্জের সূতারকান্দি স্থলবন্দরের জন্য আগে থেকেই র‌্যাপিড রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।

সিলেট শহীদ শামসুদ্দীন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সুশান্ত কুমার মহাপাত্র বলেন, পুরো হাসপাতালকে আইসোলেশন ইউনিট ঘোষণা দেওয়ার পর গতকাল সোমবার থেকে নতুন করে রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না। তবে হাসপাতালের বহির্বিভাগ চালু আছে। নির্দেশনা পাওয়ার পর বহির্বিভাগ নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক হিমাংশু লাল রায় প্রথম আলোকে বলেন, ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার ইউনুছুর রহমানের তত্ত্বাবধানে করোনাভাইরাস ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক শিশির রঞ্জন চক্রবর্তীকে। কমিটির কাজ হবে আক্রান্তদের চিকিৎসার সমন্বয় করা, ফলোআপ করা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করা।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্য আট শয্যার আইসোলেশন ইউনিট চালু রয়েছে। তবে আপাতত সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কাউকে ভর্তি করা হবে না; শহীদ শামসুদ্দীন আহমদ হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধী হাসপাতাল এবং শাহ পরান (রহ.) হাসপাতালকে ব্যবহার করা হবে।

সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মণ্ডল বলেন, সিলেটের সব কটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন ইউনিট চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪-৫টি শয্যা আইসোলেশন ইউনিটের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।