রোগীদের মুঠোফোন চুরি, লিখিত অভিযোগ না পেয়ে ছয় নারীকে ছেড়ে দিল পুলিশ

অভিনব কায়দায় রোগীদের মুঠোফোন ও টাকা চুরির অভিযোগে ছয় নারীকে পুলিশে দিয়েছে কুমিল্লা লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সংশ্লিষ্ট রোগীদের কেউ বাদী হয়ে অভিযোগ না করায় পুলিশ নারীদের ছেড়ে দিয়েছে।

বুধবার সকালে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে আসা রোগীদের মুঠোফোন ও টাকা চুরির অভিযোগে ওই নারীদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

আটক নারীরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাছিরনগর উপজেলার উত্তর আগলাবাড়ি এলাকার ধরমন গ্রামের হাজেরা খাতুন (২৩), বিলকিস বেগম (২৬), নারগিস আক্তার (৩০), হবিগঞ্জ মাধবপুর উপজেলার দুলিয়াখাল মোহনপুর এলাকার সালমা বেগম (২৬), হাছনা আক্তার (২৫) ও মাধবপুরের কুতুব চান (৩০)।

লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগীর ভিড়ে সুযোগ বুঝে সংঘবদ্ধ এসব নারী একাধিক রোগীর মুঠোফোন ও টাকা নিয়ে যান। একপর্যায়ে এক নারীর মুঠোফোন ও টাকা নেওয়ার সময় অন্যরা বিষয়টি টের পেয়ে এই ছয়জনকে আটক করেন। এ সময় আরও দুই নারী পালিয়ে যান। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তবে পরবর্তী সময়ে কেউ লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় পুলিশ এই নারীদের ছেড়ে দেয়।

এ ব্যাপারে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছয় নারীকে চুরির মৌখিক অভিযোগে পুলিশে সোপর্দ করে। তবে পরবর্তী সময়ে কেউ তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় এবং তাঁদের কাছে চুরি করা কোনো মালামাল না পাওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের এই ছয় নারী লাকসামে কী করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, তাঁর ধারণা এসব নারীর কেউ কেউ এখানে পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকেন বা অন্য কোনো কারণে আসতে পারেন।

লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল আলী বলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগে সব সময় রোগীদের ভিড় থাকে। ওই সুযোগে বহিরাগত কিছু নারী ‘ছিনতাইকারী’ রোগী সেজে এখানে ভিড় করেন। তাঁরা কৌশলে রোগীদের মুঠোফোন, টাকা ও বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যান। পুলিশে কেন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যে নারীর মোবাইল নিয়েছেন, তিনি অভিযোগ করেননি। আমাদের কাজ পুলিশে দেওয়া, আমরা পুলিশে দিয়েছি। আমরা অভিযোগ দিতে যাব কেন।’