খাগড়াছড়িতে ৫ জন নিহতের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। গতকাল বুধবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের কাছে এটি জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

তদন্ত কমিটির প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, বিজিবি ও গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। যারা দোষী, তাদেরই দোষী করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। প্রতিবেদন আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর পাঠানো হয়েছে।’ তবে প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।

এর আগে ৪ মার্চ ঘটনা তদন্তে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসক। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বক্তব্য না পাওয়ায় ৮ মার্চ আরও তিন দিন সময় বাড়ানো হয়। পরে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে গত মঙ্গলবার বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত বিজিবির মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য নেওয়া হয়।

৩ মার্চ খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার গাজীনগর এলাকায় গ্রামবাসীর সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এর মধ্যে একজন বিজিবি সদস্য। বাকি চারজনের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন।

এ ঘটনায় বিজিবি ও স্থানীয়দের পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে ৪০ বিজিবির হাবিলদার ইসহাক আলী বাদী হয়ে নিহত চারজনসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এতে আরও ৬০ থেকে ৭০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় দেখানো হয়েছে। ঘটনায় গুলিতে নিহত মফিজ মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া বাদী হয়ে অপর মামলাটি করেন। মামলায় হাবিলদার ইসহাক আলীসহ ছয় বিজিবি সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।