টাঙ্গাইলে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলে এক নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।

দণ্ডিত দুজন হলেন কালিহাতী উপজেলার আউলাতৈল গ্রামের নূর মোহাম্মদ ওরফে নুরু (৬৫) এবং বাসাইল উপজেলার যসিহাটি গ্রামের মোছা. নাজমা (৩২)।

টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি একেএম নাছিমুল আক্তার বলেন, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার মোছা. আশা আক্তার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ফৈলারঘোনা গ্রামের মো. আ. আলীমের কন্যা। তিনি টাঙ্গাইল শহরের এনায়েতপুরে তাঁর নানার বাড়িতে বসবাস করতেন। গত ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর মোছা. আশা আক্তার নানার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। ১০ থেকে ১২ দিন পর কালিহাতী উপজেলার ধানগড়া গ্রামের একটি বিল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁর বাবা আবদুল আলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে কালিহাতী থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিহাতী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাসির উদ্দিন মুঠোফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে মোছা. নাজমাকে গ্রেপ্তার করেন। মোছা. নাজমা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাঁর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নূর মোহাম্মদ ওরফে নুরুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা তখন বলেন, ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর তাঁরা দুজন মোছা. আশা আক্তারকে নিয়ে কালিহাতী উপজেলার মান্দাই বিলের কাছে যান। ধর্ষণের পর নাজমার সহায়তায় বিলের পানিতে আশাকে চুবিয়ে হত্যা করেন নূর মোহাম্মদ। পুলিশ ২০১৭ সালের ৩১ মে এই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।