সরাইলে ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডায় দুই ভাইকে বাস থেকে ধাক্কার অভিযোগ, একজনের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডার জের ধরে দুই ভাইকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বাসচালকের সহকারীর বিরুদ্ধে। এতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের কুট্টাপাড়া মোড়ে ওই ঘটনা ঘটে। বিকেলে ঢাকায় নেওয়ার পথে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর ছোট ভাই।

নিহত যুবকের নাম আশিক মিয়া (২৫)। আহত তরুণ তাঁর ভাই শরিফ মিয়া (২০)। তাঁরা দুজনই ইটভাটার শ্রমিক। তাঁরা সরাইলের সদর ইউনিয়নের গুনারা গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে।

আহত শরিফ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা দুই ভাই চট্টগ্রাম থেকে হবিগঞ্জের বাহুবলগামী একটি বাসের যাত্রী ছিলেন। তাঁরা কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর থেকে আজ ভোরে বাসটিতে ওঠেন। তাঁদের সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে নামার কথা ছিল। সকাল সাতটার দিকে বাসটি বিশ্বরোড মোড়ে পৌঁছায়। এর আগে ভাড়া নিয়ে ওই বাসের চালকের সহযোগীর সঙ্গে তাদের সামান্য বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষুব্ধ হন বাসের চালক ও তাঁর সহযোগী। শরিফের অভিযোগ, এ কারণে বিশ্বরোড মোড়ে তাঁদের না নামিয়ে এক কিলোমিটার দূরে কুট্টাপাড়া মোড়ে জোর করে ধাক্কা দিয়ে দুই ভাইকে বাস ফেল দেন চালকের সহকারী। এতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে আশিক মিয়া গুরুতর আহত হন। আশিককে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

শরিফ মিয়া বলেন, তাঁরা যে বাসে ছিলেন, তাতে ২০ থেকে ২৫ জন যাত্রী ছিলেন। তবে সংশ্লিষ্ট বাসের নাম বা নম্বর জানেন না।

আশিকের মরদেহ সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে নেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশ সেখান থেকে তাঁর লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে নেয়।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদৎ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হবে। বাসটি পালিয়েছে। এটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে।