নিখোঁজের ১৭ দিন পর মিলল কিশোরী গৃহবধূর লাশ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের ১৭ দিন পর এক কিশোরী গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে।
ওই কিশোরী গৃহবধূর নাম কেয়া খাতুন। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দাদপুর গ্রামের একটি কলাখেত থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। সে উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রামের আবদুস সামাদের মেয়ে ও বালিয়াডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় চার মাস আগে উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মনছুর মালিথার ছেলে সাবজেল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় কেয়ার। বিয়ের পর থেকে তিনি বাবার বাড়িতেই ছিলেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন কেয়া। তারপর থেকে তাঁর কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছিল না।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার জানান, কলাখেতে অর্ধগলিত লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসী। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। স্বজনেরা কেয়ার লাশ শনাক্ত করেছে। কী কারণে ও কীভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।