নির্বাচনের দিন চট্টগ্রামে আধবেলা অফিস খোলা থাকবে: সিইসি

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সিটি নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আজ শনিবার মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। ছবি: সৌরভ দাশ
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সিটি নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আজ শনিবার মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। ছবি: সৌরভ দাশ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন অফিস-আদালত আধবেলা খোলা রাখার পাশাপাশি সীমিত আকারে যান চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলনকক্ষে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সিইসি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বেলা ১১টায় শুরু হওয়া সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ। সভায় পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সিইসি করোনাভাইরাসের কারণে এখনই নির্বাচন বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে মন্তব্য করেন। সিইসি বলেন, ‘চট্টগ্রামে নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা অতিরিক্ত কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সেটা হলো নির্বাচনের দিন সাধারণত সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ২৬ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত টানা কয়েক দিনের বন্ধ। সে কারণে নির্বাচনের দিন যদি অফিস বন্ধ রাখি, তাহলে চার-পাঁচ দিনের ছুটি হয়ে যায়। তখন দেখা যাবে নির্বাচনকে অগ্রাধিকার না দিয়ে লোকজন বাড়ি চলে যেতে পারেন। সে কারণে নির্বাচনের দিন অর্ধবেলা অফিস খোলা থাকবে। বিকেলের দিকে অফিস বন্ধ থাকবে।’

সিইসি বলেন, ‘যান চলাচলের ব্যাপারে অন্যান্য নির্বাচনে আমরা কঠোর অবস্থানে থাকি। ব্যক্তিগত যান চলাচল, বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ রাখি। দেখা গেছে যে যান চলাচল বন্ধ রাখার কারণে দূর-দূরান্ত থেকে ভোটাররা নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন না। অসুবিধা হয়, অনেকে সে অজুহাতে ভোট দিতে যান না। সে ক্ষেত্রে আমরা বলেছি, সীমিত আকারে যান চলাচল করবে। সম্পূর্ণভাবে উন্মুক্ত করা যাবে না।’

মতবিনিময় সভায় কর্মকর্তারা নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের আশঙ্কা দেখেন না বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন বলে সিইসি জানান। সভায় করোনাভাইরাস নিয়েও আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, সরকার এখনো দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি ঘোষণা করেনি। তাই নির্বাচন বন্ধ করার পরিস্থিতি আসেনি। নির্বাচনের অল্প কয় দিন বাকি আছে। জাতীয় পর্যায়ে সে রকম যদি সিরিয়াস কোনো পরিস্থিতি হয়, তা পরে দেখা যাবে। পর্যবেক্ষক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলে, ‘ইসির তালিকায় যেসব প্রতিষ্ঠান ছিল, তারাই পর্যবেক্ষণে থাকবে।’

ইভিএম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, বহিরাগতদের বুথের ভেতর যাওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের সময় নির্বাচনী কর্মকর্তাদের স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়। সাংবাদিকদেরও এতে সহযোগিতা করার আছে।

২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।