দেশের প্রথম 'ওয়াইফাই সিটি' সিলেট, ১২৬ স্থানে ফ্রি সুবিধা

দেশের প্রথম ‘ওয়াইফাই সিটি’ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে সিলেট। নগরের ৬২টি এলাকার ১২৬টি স্থানে ফ্রি ওয়াইফাই সেবা পাচ্ছে নগরবাসী। রিকাবীবাজার, সিলেট, ১৩ মার্চ। ছবি: আনিস মাহমুদ
দেশের প্রথম ‘ওয়াইফাই সিটি’ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে সিলেট। নগরের ৬২টি এলাকার ১২৬টি স্থানে ফ্রি ওয়াইফাই সেবা পাচ্ছে নগরবাসী। রিকাবীবাজার, সিলেট, ১৩ মার্চ। ছবি: আনিস মাহমুদ

বাংলাদেশের প্রথম ‘ওয়াইফাই সিটি’ হিসেবে যাত্রা শুরু করল সিলেট। নগরের ৬২টি এলাকার ১২৬টি স্থানে ফ্রি ওয়াইফাই সেবা চালুর মধ্য দিয়ে এর বাস্তবায়ন হয়। এ সেবা প্রাপ্তির ইউজার নেম ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আর পাসওয়ার্ড ‘জয় বাংলা’। নগরে থাকা যেকেউ এ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। গত বছরের জুন মাসে প্রকল্পের উদ্বোধন হলেও গত মঙ্গলবার থেকে পুরোপুরিভাবে নগরের বাসিন্দারা ফ্রি ওয়াইফাই সেবা পাচ্ছেন। 

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার নগরে ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা চালু হয়। নগরে বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু উন্নয়নকাজ চলমান থাকায় ১০০টি স্থানে এখন নগরবাসী ওয়াইফাই সেবা পাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উন্নয়নকাজ শেষ হলে অপর নির্ধারিত স্থানগুলোতেও এ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সিলেটকে দেশের প্রথম ডিজিটাল নগর হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৭ জুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘ডিজিটাল সিলেট’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন।

একই সূত্রে জানা গেছে, ‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এটি বাস্তবায়ন করছে। আইসিটি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হয়। এ কাজের অংশ হিসেবে সিলেটের ৬২টি এলাকার ১২৬টি স্থান এবং কক্সবাজার জেলা শহরের ৩৫টি এলাকার ৭৪টি স্থানে ফ্রি ওয়াইফাই জোন করা হয়। সিলেটের প্রকল্প উদ্বোধন হয় গত বছরের ২৭ জুন। অন্যদিকে কক্সবাজারে এ প্রকল্প উদ্বোধন হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। সে হিসেবে সিলেটই প্রথম দেশের ‘ওয়াইফাই সিটি’ হিসেবে যাত্রা শুরু করল। সিলেটের এই ওয়াইফাই জোনগুলো তদারকি করবে সিলেট সিটি করপোরেশন।

ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধার আওতায় সিলেট নগরের উল্লেখযোগ্য এলাকা হচ্ছে চৌকিদেখি, আম্বরখানা, দরগাগেট, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, হাসান মার্কেট, সুরমা ভ্যালি রেস্ট হাউস, কিনব্রিজ, রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল, কদমতলী, হুমায়ূন রশীদ চত্বর, শাহজালাল উপশহর, টিলাগড়, এমসি কলেজ, শাহী ঈদগাহ, কুমারপাড়া, দক্ষিণ বালুচর, নাইওরপুল, মীরাবাজার, রায়নগর, সোবাহানীঘাট, ধোপাদিঘিরপাড়, নয়াসড়ক, কাজীটুলা, চৌহাট্টা, হাউজিং এস্টেট, সুবিদবাজার, মীরের ময়দান, পুলিশ লাইনস, রিকাবিবাজার, মদনমোহন কলেজ, মির্জাজাঙ্গাল, খুলিয়াপাড়া, তালতলা, কাজীরবাজার, বাগবাড়ি, পাঠানটুলা, মদিনামার্কেট, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গেট, ওসমানী মেডিকেল কলেজ এলাকা।

ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মধুসূদন চন্দ আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিটি একসেস পয়েন্টে একসঙ্গে ৫০০ জন যুক্ত থাকতে পারবেন। এর মধ্যে একসঙ্গে ২০০ জন উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিটি একসেস পয়েন্টের চতুর্দিকে ১০০ মিটার এলাকায় ব্যান্ডউইথ থাকবে ১০ এমবিপিএস ডেডিকেটেড।’ তিনি আরও জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়নকাজের কারণে ১০০টি স্থানে এখন নগরের বাসিন্দারা সেবা পাচ্ছেন। তাদের কাজ শেষ হলে বাকি ২৬টি স্থানেও নগরবাসী সেবা পাবেন।