মুগদায় তারিনা বেগম হত্যাকাণ্ডে চার ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

ছিনতাই হওয়া ট্যাব উদ্ধার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
ছিনতাই হওয়া ট্যাব উদ্ধার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মুগদা এলাকায় তারিনা বেগম লিপা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মুগদা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবদুল বাতেন।

গ্রেপ্তার চার আসামি হলেন, মিজুয়ান মিয়া, শেখ লিটন, আব্দুল মজিদ ও রফিক হাওলাদার। চার আসামির কাছ থেকে এক রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি ছুরি, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে ভুক্তভোগী নারীর লুণ্ঠিত ট্যাব ও ১৭শ টাকা।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, চার আসামি ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রাইভেট কার ব্যবহার করে রিক্সা যাত্রী ও পথচারীদের ব্যাগ ছিনতাই করে আসছিল। জিজ্ঞাসাবাদে মিজুয়ান মিয়া জানায়, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ভোর বেলায় মুগদা এলাকার তারিনা বেগমের ছিনতাইয়ের ঘটনায় তারা জড়িত ছিলেন। খিলগাঁও উড়ালসড়ক থেকে কমলাপুর স্টেডিয়ামের মাঝামাঝি অবস্থান করার সময় ভোর ৫ টা ২০ টার দিকে তারিনা বেগমের ব্যাগটি দেখতে পান। তখন তারিনা বেগমকে তাঁরা টার্গেট করেন। দক্ষিণ মুগদা ইউনিক বাস কাউন্টার অতিক্রম করার পরপরই তারা তারিনার হাতে থাকা ব্যাগ ধরে টান দেন। তখন রিক্সা থেকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তারিনা। গাড়ি চালাচ্ছিল তাদের বড়ভাই মনা।

পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল বাতেন আরও বলেন, তারিনার হাতে থাকা ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার পর তারা টয়েনবি রোড ফকিরাপুল, মতিঝিল, মিরপুর টেকনিক্যালে আরো একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায়। তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায়, তাদের সুবিধামত স্থানে রাতে–ভোররাতে অস্ত্র ও ছুরির মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে মালামাল নিয়ে যায়।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তারিনা বেগম লিপা নামের এক নারী কমলাপুর রেলস্টেশনে যাওয়ার জন্য রিক্সায় করে আসছিলেন। দক্ষিণ মুগদা ইউনিক বাস কাউন্টার ও কমলাপুর স্টেডিয়ামের মাঝামাঝি আসার পর প্রাইভেটকারে আসা ছিনতাইকারী তার হাতে থাকা ব্যাগ টান দিয়ে নেয়ার সময় তিনি পড়ে যান। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। প্রথমে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।