মাধবপুর লেকে ঢুকে পর্যটকদের পেটালেন বখাটেরা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর লেকে প্রতিদিন দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটক বেড়াতে আসেন। এই পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্বে আছে টুর‌্যিস্ট পুলিশ। তবে এর মধ্যেই দুটি মোটরসাইকেলে করে ৬ বখাটে কয়েকজন পর্যটকের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটলেও পুলিশের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, টুর‌্যিস্ট পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল ইসলামের মাধ্যমে তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে লিখিত কোনো অভিযোগ কেউ করেনি। তারপরও বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।

মাধবপুর চা বাগান লেকে প্রবেশপথের গেটম্যান দাদু কর প্রথম আলোকে আজ রোববার বলেন, গতকাল বিকেল সোয়া ৩টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে করে নারী-পুরুষ মিলে আটজন পর্যটক এখানে আসেন। তাঁরা একটি খেতে বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। এমন সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন তরুণ এসে এলোপাতাড়ি পর্যটকদের পেটাতে থাকেন। তিনি বিষয়টি টুর‌্যিস্ট পুলিশের এসআই নাজমুলকে জানান। এ তথ্য জানিয়ে মূল লেক এলাকা থেকে ঘটনাস্থলে আসতে আসতেই হামলাকারীরা চলে যান।

মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু বলেন, হামলায় আহত পর্যটকেরা বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে মৌখিকভাবে ঘটনাটি জানিয়ে গেছেন। তাঁরা সবাই হবিগঞ্জ অঞ্চলের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাধবপুর ইউনিয়নের দুজন জনপ্রতিনিধি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, গতকাল বিকেলে যারা হামলা চালিয়েছিলেন তাদের নেতৃত্বে ছিলেন সালমান আহমেদ, সজু আহমেদ ও মিজান। তাদের বাড়ি মাধবপুর ইউনিয়নে। তাঁরা প্রায়ই এখানে আসা পর্যটকদের উত্ত্যক্ত করা থেকে শুরু করে মারধরও করে থাকেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে সালমান আহমেদ ও সজু আহমেদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তাঁরা দাবি করেন, গতকাল বিকেলে তাদের এক স্বজন মারা যান। সেটা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা। কেউ অহেতুক তাদের নাম দিয়েছেন।

তবে মাধবপুর লেকের ঘটনার সময়ের সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনার সময়ের দুই ঘণ্টার পার্থক্য ছিল উল্লেখ করে স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জনপ্রতিনিধিরা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাঁরাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

এ বিষয়ে টুর‌্যিস্ট পুলিশের এসআই নাজমুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গেলেও হামলাকারী ও হামলার শিকার পর্যটকদের কাউকেই পাননি। এমনকি হামলাকারীদের নাম-পরিচয়ও জানতে পারেননি।