পাথরঘাটায় প্রথমবার এক প্রবাসী 'কোয়ারেন্টিনে'

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সতর্কতায় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় প্রথমবারের মতো এক প্রবাসীকে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তিনি লেবানন থেকে গতকাল রোববার সকালে দেশে ফিরেছেন। উপজেলার স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে (রোগ সংক্রমণের শঙ্কায় পৃথক রাখা) থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ। তিনি বলেন, লেবাননফেরত প্রবাসীকে তাঁর বাড়িতে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। এ সময় তিনি ঘরের বাইরে বের হবেন না। স্থানীয় দুজন স্বাস্থ্যকর্মী তাঁর বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন।

ওই প্রবাসীর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তিনি বাড়ির সামনে অবাধে চলাচল করছেন এবং আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করছেন।

স্বাস্থ্য সহকারী ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে প্রবাসীর আসার খবর আমাদের আগেই জানানো হয়েছিল। আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পৃথক কক্ষের ব্যবস্থা করেছি। তবে প্রবাসী দীর্ঘদিন পর গ্রামে আসায় স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করছেন। আমরা তাঁকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে বিরত থাকতে অনুরোধ করছি। তবু তিনি বারণ মানছেন না।’

প্রবাসীর ভাই জানান, তাঁর ভাই ২০১৩ সাল থেকে লেবাননে। লেবানন থেকে ঢাকায় আসার পর গতকাল সকালে যাত্রীবাহী বাসে করে তিনি পাথরঘাটা আসে। তাঁর বাড়িতে আসার খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা দেখা করতে এসেছেন।

সরেজমিনে গতকাল প্রবাসীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে উঠানে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে এক স্বজনের সঙ্গে কথা বলছেন। ফোনে কথা শেষ করে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে করমর্দন করে কুশলবিনিময় করছেন। এ সময় তাঁর পাশে স্বাস্থ্যকর্মীসহ চার-পাঁচজন ছিলেন।

এ ব্যাপারে বরগুনার সিভিল সার্জন হুমায়ুন শাহিন খান বলেন, কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় কোনো লক্ষণ দেখা দিলে উপযুক্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসা দেওয়া হবে। জেলার সব হাসপাতালে আইসোলেশন বা পৃথক ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।