প্রাইভেট পড়তে বের হওয়ার ঘণ্টাখানেক পর খবর এল লাশ পড়ে থাকার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পলাশী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের মসজিদের পাশ থেকে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, মাথায় আঘাত করার পর শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

ওই কলেজছাত্রের নাম ইখলাছ হোসেন ওরফে নয়ন (১৯)। তিনি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আবু হানিফের ছেলে। তিনি যশোর সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন। সদর উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামে নানা আইয়ার আলীর বাড়িতে থেকে তিনি লেখাপড়া করতেন।

নিহতের নানা আইয়ার আলী বলেন, ইখলাছ মনিরামপুরের বাসুদেবপুর বাজারে শিক্ষক ইব্রাহিম হোসেনের কাছে প্রাইভেট পড়তেন। আজ সকাল ছয়টার দিকে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এর ঘণ্টাকে পর পলাশী মসজিদের পাশে তাঁর লাশ পড়ে থাকার খবর আসে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ইখলাছের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে খেদাপাড়া পুলিশ ক্যাম্প থেকে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

মনিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ইখলাছের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাঁর কপালের বাম পাশে ও গলায় জখমের চিহ্ন আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাথায় আঘাত করার পর শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এ ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে। মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।