করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা, ১৮ মার্চ। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন
বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা, ১৮ মার্চ। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার সময়মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্বের ১৬৭টি দেশ করোনোভাইরাসে আক্রান্ত। পৃথিবীর মানুষ প্রচণ্ডভাবে আতঙ্কিত। আমাদের দেশে সরকার সঠিক ব্যবস্থা সময়মতো গ্রহণ করেছে বিধায় আমাদের দেশে মাত্র ১০ জনের মধ্যে এই সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এবং এই ১০ জনে বেশির ভাগই এসেছে বিদেশ থেকে বা তাদের পরিবারের সদস্য, যাদের সংস্পর্শে ছিল। সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, আমরা আজকে এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে সামর্থ্য কম। ইউরোপের দেশগুলো যাদের অর্থনৈতিক সামর্থ্য, যাদের মেডিকেল সায়েন্স আমাদের থেকে অনেক ভালো। তারাও কিন্তু এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই।’ ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউরোপজুড়ে আজ এটি ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ আমাদের দেশে সেটি আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’


গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের প্রসঙ্গ টেনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের যে আতঙ্ক বিশ্বব্যাপী, সেটির মধ্যেও মানুষের উৎসাহ, উদ্দীপনা, উচ্ছ্বাসের কোনো কমতি ছিল না। ঢাকা কার্যত গতকাল উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছিল।

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদযাপন অনুষ্ঠানে কেক কাটেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা, ১৮ মার্চ। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন
বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদযাপন অনুষ্ঠানে কেক কাটেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা, ১৮ মার্চ। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

অনেক রাজনৈতিক দল এ মুজিব বর্ষ পালনে ব্যর্থ হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল, এই বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, তারাই কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষের দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা হারিয়ে যাবে।

নারীরা পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি কাজ করেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সব কাজের ৭০ ভাগ কাজ করেন নারী। কর্মজীবী নারী হলে বাসায় ফিরে সন্তানদের দেখাশোনা, রান্নাঘরে যাওয়া এবং অফিসের প্রয়োজনে কাজ করেন, যা পুরুষকে প্রায় করতেই হয় না।

নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক বলেন, সংবাদমাধ্যমে নারীদের প্রতি বৈষম্য বিরাজ করছে। তিনি নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কিছু দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। দেশে-বিদেশে সাংবাদিক নিয়োগের ক্ষেত্রে নারীদের যেন বিবেচনা করা হয়। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টসহ বিভিন্ন কমিটিতে নারী সাংবাদিকদের অন্তর্ভুক্ত করা। নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের নিজস্ব অফিস চান।
নাসিমুন আরা হক বলেন, সাংবাদিকতায় আগের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে এখনো কম। এ অবস্থা বদলানোর জন্য নারী সাংবাদিক কেন্দ্র কাজ করছে বলে জানান।

নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনিমা সুলতানার সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনএর সম্পাদক মিজানুর রহমান, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের শাহনাজ পারভীন, প্রচার সম্পাদক মুশফিকা নাজনীন প্রমুখ।