আলোকচিত্রী শফিকুলের পরিবারের মামলা না নেওয়ার কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলামের নিখোঁজ হওয়ার প্রেক্ষাপটে তাঁর পরিবারের মামলা না নেওয়ার কারণ জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে কাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষকে এই তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ বুধবার মামলা না নেওয়ার বিষয়টি নজরে আনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই তথ্য জানাতে বলেন।

‘পুলিশ স্টেশন পাস ব্যাক, ইয়েট টু রেকর্ড কেস’ শিরোনামে আজ ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার–এ একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়, যা আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান।

পরে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, সকালে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হলে, আদালত থানায় মামলা নিয়ে যেতে ও হালনাগাদ তথ্য জানাতে বলেন। পরে শফিকুলের ছেলে মনোরম পলক নিউমার্কেট থানায় যান। তবে মামলা নেওয়া হয়নি। বিষয়টি বিকেলে আদালতকে অবহিত করা হয়। তখন আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বলেন। কেন মামলা নেওয়া হয়নি, তা কাল বৃহস্পতিবার ১১টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, চকবাজার থানায় ওই বিষয় নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) থাকায় মামলা নেওয়া হয়নি বলে নিউমার্কেট থানার ওসির জানান। চকবাজার থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কেন মামলা নেওয়া হয়নি, এ তথ্য জেনে বৃহস্পতিবার আদালতকে জানানো হবে।

শফিকুল ইসলাম দৈনিক পক্ষকাল পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কাজ করছিলেন। শফিকুল ১০ মার্চ (গত মঙ্গলবার) বকশীবাজারের বাসা থেকে হাতিরপুলে নিজ কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। শফিকুল ইসলামের পরিবার মনে করে, তিনি নিখোঁজ নন। তাঁকে অজ্ঞাতনামা কে বা কারা ধরে নিয়ে গেছে। এ আশঙ্কার কথা জানিয়ে চকবাজার থানায় ১৬ মার্চ অপহরণ মামলা করতে গিয়েছিল পরিবার। কিন্তু থানা সে মামলা নেয়নি।

যুবলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া-কাণ্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ৯ মার্চ রাতে মামলা হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় ওই মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সাংসদ সাইফুজ্জামান শিখর। ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম তাঁর ফেসবুকে প্রকাশিত খবরের শেয়ার করায় তাঁকেও ওই মামলায় আসামি করা হয়।