হাত ধুয়ে থানায় প্রবেশ

যাঁরা থানায় পুলিশের কাছে সেবা নিতে আসছেন, তাঁদের সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পর ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ছবি: প্রথম আলো
যাঁরা থানায় পুলিশের কাছে সেবা নিতে আসছেন, তাঁদের সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পর ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ছবি: প্রথম আলো

করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতায় ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে বগুড়ার শেরপুর থানা-পুলিশ। থানায় প্রবেশের মুখে বসানো হয়েছে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। সেখানে দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশের একজন কনস্টেবল। থানায় আসা ব্যক্তিদের হাত ধোয়ার পর ভেতরে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দুপুর ১২টায় থানা চত্বরে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য। স্থানীয় ডেকোরেটর থেকে সংগ্রহ করে বসানো হয়েছে অস্থায়ী বেসিন। যাঁরা থানায় পুলিশের কাছে সেবা নিতে আসছেন, তাঁদের সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পর ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

হাত ধোয়ার সময় স্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণিতে পড়া তিনজন শিক্ষার্থী জানায়, তারা ব্যক্তিগত কাজে থানায় এসেছে। করোনাভাইরাসের সচেতনতা নিয়ে পুলিশের এমন উদ্যোগ অনেককেই উৎসাহিত করবে। তারা সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ভেতরে যায়।

উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের চাঁটাইল গ্রামের আবদুস সামাদ বলেন, তিনি একটি মামলার বাদী। পুলিশের সঙ্গে দেখা করতে থানায় এসেছেন। থানা-পুলিশের এমন উদ্যোগ আগতদের এই ভাইরাস নিয়ে আরও সচেতন করে তুলবে।

থানায় ডিউটি অফিসার ছিলেন থানা-পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক নান্নু মিয়া। তিনি বলেন, থানায় পুলিশের কাছে সেবা নিতে আসা সবাইকে হাত ধুয়ে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। এতে পুলিশসহ আগতরাও অনেকটা নিরাপদ থাকবেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অন্তত দুই শ নারী-পুরুষ হাত ধুয়ে থানায় ঢুকেছেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রতিদিনই পুলিশের কাছে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিরা থানায় আসেন। করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতায় তাঁরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশমতো এমন কার্যক্রম শুরু করেছেন। এই কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।