বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশনা

বিদেশফেরত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

বিদেশফেরত ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ কার্যকরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর (এ কাজে নিয়োজিত) কাছে তাদের হস্তান্তর নিশ্চিত করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অন্যদিকে কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রত্যাবর্তনকারীদের পাহারা দিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত হাসপাতাল বা শেল্টার হাউসে পৌঁছে দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য রাখতে স্বরাষ্ট্রসচিবের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি চিহ্নিত করতে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও ভূমি সীমান্তসহ দেশের প্রতিটি প্রবেশমুখে তদারক দল রাখার নির্দেশনা চেয়ে ১৫ মার্চ রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। বৃহস্পতিবার আদালতে রিটের পক্ষে ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ এম আর চৌধুরী।

আদালত বলেছেন, হাসপাতাল বা শেলটার হাউসে পৌঁছার পর প্রত্যাবর্তনকারীকে দ্রুত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসায় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

অপর নির্দেশনায় কোয়ারেন্টিনের সময় প্রত্যাবর্তনকারীদের চিকিৎসা ও কল্যাণের বিষয়টি নিজ নিজ জেলা প্রশাসক যেন তদারকি করেন, সে জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোয়ারেন্টিনে থাকা বিদেশফেরত ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাঁর চিকিৎসা এবং আক্রান্ত না হলে ছাড়পত্রবিষয়ক বৃত্তান্ত হলফনামা আকারে ১৬ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে স্বাস্থ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ এম আর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, কোয়ারেন্টিনের সময় বিদেশফেরত ব্যক্তিদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনসচিবসহ বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।