করোনা মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা জারির দাবি

জোনায়েদ সাকি। ছবি: সংগৃহীত
জোনায়েদ সাকি। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারির দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।

জরুরি এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনেরও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ শুক্রবার সকালে সংগঠনটির ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এই দাবি তুলে ধরেন সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা-সংক্রান্ত কার্যক্রম ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব কাজ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।

করোনা মোকাবিলায় দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে গতকাল বৃহস্পতিবার আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী। সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাঁরা এই আবেদন করেন বলে জানা গেছে। আবেদনকারী আইনজীবীরা হলেন মোহাম্মদ শিশির মনির, আসাদ উদ্দিন ও জুবায়েদুর রহমান।

দুর্যোগ হলে তা মোকাবিলায় সরকারকে জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জেএসডি। গতকাল এক বিবৃতিতে দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন এই আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা মোকাবিলায় ছয়টি সুপারিশ করেছে জেএসডি। এর মধ্যে সংবিধানের ১৪১ (ক) অনুসারে জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা, রেস্তোরাঁ-বার-সিনেমা হল-নাট্যশালা-জাদুঘর-ক্লাব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, সব ধরনের জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করা, আতশবাজি-আলোকসজ্জাসহ সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার ও নির্দেশনা জারি, চিকিৎসার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের সহযোগিতা গ্রহণ করা।