ইসি নিজেই ভাঙল জনসমাগমের নির্দেশনা

নির্বাচনের ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তারা গাদাগাদি করে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন প্রশিক্ষণার্থীরা। মোগলটুলী খাজা আজমেরী স্কুল থেকে আজ তোলা। ছবি: প্রণব বল
নির্বাচনের ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তারা গাদাগাদি করে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন প্রশিক্ষণার্থীরা। মোগলটুলী খাজা আজমেরী স্কুল থেকে আজ তোলা। ছবি: প্রণব বল

করোনার কারণে জনসমাগম এড়িয়ে চার পাঁচজন নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে লিখিত নির্দেশনা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু আজ শুক্রবার ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের নামে নিজেরাই জনসমাগম করে সেই নির্দেশনার বরখেলাপ করল ইসি।

২৯ মার্চের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ নগরের চারটি স্কুল ও কলেজে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্কুল–কলেজের শিক্ষক, ব্যাংকার, কর কর্মকর্তা, হিসাব কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন অংশ নেন। তাঁদের সকলের চোখেমুখে ছিল আতঙ্ক এবং ক্ষোভ। কোনো স্যানিটাইজারও দেওয়া হয়নি তাঁদের।

আবদুল মোরশেদ নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে একজন যদি ভাইরাস বহন করেন, তাহলে সবার মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়বে। এটা আত্মঘাতী।

নগরের মোগলটুলী আজমিরি উচ্চবিদ্যালয় এবং গ্রামার স্কুলে মোরশেদসহ অন্তত দেড় হাজার ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নেন। প্রতিটি কক্ষে ২৫ থেকে ৩০ জনকে ইভিএমে কীভাবে ভোট নিতে হবে, তা হাতেকলমে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন ইসির কারিগরি প্রশিক্ষকেরা। কারও কারও মুখে মাস্ক থাকলেও বেশির ভাগই ছিল সুরক্ষাবিহীন। এক বেঞ্চে গাদাগাদি করে চারজনকে বসিয়ে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

মরিয়ম আকতার নামের এক স্কুলশিক্ষক বলেন, ‘কোনোভাবেই এই নির্বাচন এখন হওয়া উচিত নয়। সরকারি চাকরি করি বলে আমরা আসতে বাধ্য হয়েছি। কিন্তু এটা করোনা–ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে সবাইকে।’

জানতে চাইল নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে নিতে হবে। তার অংশ হিসেবে এই প্রশিক্ষণ।’