এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগ

ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম অভিযোগ করেছেন, তাঁর দলের নির্বাচনী এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ভোটও পড়ছে খুব কম। একটি কেন্দ্রে দেড় ঘণ্টায় পাঁচটি ভোট পড়েছে বলেও জানান রবিউল।

আজ শনিবার সকাল নয়টায় এই আসনে ভোট নেওয়া শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় ধানমন্ডি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র রবিউল আলমের সঙ্গে কথা হয়।

রবিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল থেকে আমি নিজের কেন্দ্রসহ মোট ছয় কেন্দ্রে ঘুরেছি। একটি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ পাঁচ ভোট পেয়েছি, ভোট শুরু হওয়ার দেড় ঘণ্টা পর।’

ধানমন্ডি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের যে বুথটি ঘুরে দেখছিলেন, সেখানে ভোট দেওয়ার চিত্র তুলে ধরে রবিউল বলেন, এখানে ৩৮২টি ভোট। কিন্তু একটিও ভোট পড়েনি। ভোট শুরুর দেড় ঘণ্টা হয়েছে।

বিএনপির প্রার্থী রবিউল বলেন, তাঁর ঘোরা ছয় কেন্দ্রের মধ্যে শুধু তাঁর নিজ ভোট কেন্দ্র ধানমন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চারজন এজেন্ট ছিলেন।

ধানমন্ডি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে দেখেন ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম। ছবি: সুহাদা আখতার
ধানমন্ডি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে দেখেন ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম। ছবি: সুহাদা আখতার

রবিউল আলম বলেন, ‘ওরা চারজনকে ঢোকার সুযোগ করে দিয়েছে। বাকিগুলোতে সকাল নয়টার মধ্যে এজেন্ট গিয়েছে। তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কাগজগুলো নিয়ে গিয়েছে, ঢুকতেই দেয়নি। মারপিট করে বের করে দিয়েছে। অনেকে হাসপাতালে। এজেন্ট যাওয়ার পরও তারা থাকতে পারছে না। দাঙ্গা হচ্ছে মারপিট হচ্ছে, এমন বার্তা যখন মানুষের কাছে যায় তখন তো মানুষ ভোটে আসতে চায় না।’

রবিউল আলম বলেন, ভোট দিতে জনগণ আসছে না, রণ রাজনৈতিক দলের এজেন্টই থাকতে পারে না। করোনা নিয়ে আতঙ্ক আছে, ভোট ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনীহা আছে তারপর মারপিটের সংবাদ শুনলে ভোটাররা নিরুৎসাহ হবে।

ধানমন্ডি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএনপির একজন এজেন্ট এসে রিপোর্ট করেছিলেন। পরে আর তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান পোলিং অফিসার।

গত ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করলে ঢাকা-১০ নির্বাচনী আসন শূন্য হয়।