রাজশাহীতে করোনা সন্দেহে এক নার্স কোয়ারেন্টিনে

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন—এমন সন্দেহে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন নার্সকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। সরঞ্জাম না থাকার কারণে চিকিৎসকেরা তাঁর পরীক্ষা করতে পারেননি। ঢাকা থেকে বাসে ফেরার সময় তিনি ইতালিফেরত এক প্রবাসীর সহযাত্রী ছিলেন। বাড়ি ফিরেই তাঁর জ্বর আসে। এ জন্য তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ওই নার্সকে তাঁরা রাজশাহী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে পাঠিয়েছিলেন। পরে তিনি নিজের ইচ্ছায় বাড়িতে ‘কোয়ারেন্টিনে’ চলে যান। তিনি তাঁকে সরকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইসিডিআর) হটলাইন নম্বর দিয়েছেন। তিনি আইইডিসিআরে ফোন করে বলে দিয়েছেন। তারাই রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করবে। আর রাজশাহীতে পরীক্ষার জন্য কিট আনতে পাঠানো হয়েছে। বিকেলের মধ্যে কিট চলে আসতে পারে। তখন তাঁরা নিজেই পরীক্ষা করতে পারবেন।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এই রোগীর গায়ে হামের মতো দানা দানা কিছু দেখা যাচ্ছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর শরীরে এ রকম হয় না। তারপরও তাঁরা সতর্কতার জন্য তাঁকে কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছেন।

জানা গেছে, ওই নার্সের ১০২ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। গতকাল থেকে পাতলা পায়খানা শুরু হয়েছে। আজকেও তাঁর ১০১ ডিগ্রি জ্বর আছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সকালে তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে করোনা ইউনিটে পাঠান। সেখান থেকে তাঁকে আইসোলেশন ইউনিটে যাওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়।

রাজশাহীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালকে আইসোলেশন ইউনিট ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ওই নার্স সেখানে ঢুকে আশপাশের লোকজনকে শুধু বলেছেন, ‘আমার করোনা হতে পারে। আমাকে একটু সাইড দিন।’ এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে লোকজন তাঁর কাছ থেকে দৌড়ে দূরে চলে যান। এরপর তিনি চিকিৎসকদের কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ চলে যান।