মিটফোর্ডে মাস্ক আছে, মাস্ক নেই

রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে মাস্কের সংকট সংক্রান্ত নোটিশ ছড়িয়ে পড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ঘোষণা এসেছে এখন আর সংকট নেই। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোর্শেদ রশীদ আজ শনিবার বিকেলে প্রথম আলোর কাছে এ দাবি করেছেন।

এর আগে দুপুরে মোর্শেদ রশীদ স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ২১ মার্চ স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ও হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। সংক্রমণ ঝুঁকি এড়ানোর জন্য হাসপাতালে কর্মরত এবং সেবা কাজের সঙ্গে জড়িত সবার মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন। কিন্তু ‘সম্পদের স্বল্পতা’র কারণে সবাইকে মাস্ক সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় সবাইকে নিজ উদ্যোগে মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

এমন নোটিশে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নোটিশটি সম্পর্কে জানতে বেলা সাড়ে ৪টার দিকে যোগাযোগ করা হয় মোর্শেদ রশীদের সঙ্গে। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, নোটিশটি তিনি গত বৃহস্পতিবার দিয়েছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জন্য প্রতিদিন ১২০-১৩০টি মাস্ক সরবরাহ করতে হয়। কিন্তু এখন কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান নতুন করে মাস্কের অর্ডার নিচ্ছে না।

এমন অবস্থায় ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নোটিশটি দেওয়া হয়েছিল, যা আজ নেতিবাচকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এর মধ্যেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে পর্যাপ্ত মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে, পরেও প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় আজ আবার নতুন করে আরেকটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মাস্কের সংকট না থাকার বিষয়টি নতুন নোটিশে বলা হয়েছে।

হাসপাতালের সংগ্রহে কত মাস্ক আছে জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, এখন প্রায় সাত হাজার মাস্ক আছে। মাস্ক সরবরাহে আর কোনো সমস্যা হবে না। এ ছাড়া সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক বা সেবা সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) সম্পর্কে তিনি বলেন, পিপিই-ও পর্যাপ্ত আছে। করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন এমন সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসার সঙ্গে তিনজন জড়িত। প্রতিদিন তাঁদের তিনটি করে পিপিই সরবরাহ করা হচ্ছে। এখনো হাসপাতালে প্রায় ২০০ পিপিই আছে।