নির্বাচন কমিশন 'ক্লাউনে' পরিণত হয়েছে: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

ঢাকা ১০ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘টু পারসেন্ট কাস্টিং হয়নি। একেবারেই ভোটার নেই।' তিনি তিন আসনের উপনির্বাচন বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ‘ক্লাউনে’ পরিণত হয়েছে।

আজ শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন। আজ ঢাকা-১০, বাগেরহাট ৪ ও গাইবান্ধা ৩ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এত করে বললাম, নির্বাচনটা বন্ধ করুন। আজকে কি হয়েছে-দেখা গেছে যে, নট ইভেন টু পারসেন্ট কাস্টিং হয়নি। একেবারেই ভোটার নেই। তারপরে আবার আমাদের দলের এজেন্টদেরও বের করে দেওয়া হয়েছে।' তিনি এই নির্বাচনগুলো বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেন। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই কমিশন আসলে একটা ক্লাউনে পরিণত হয়েছে এবং তারা নিজেদের যে জায়গাটা কোথায়, সাংবিধানিকভাবে তাদের অবস্থানটা কোথায়, সেটাও তারা বোঝে না বলে এসব কাজ করে। জাতীয় দুর্যোগের মধ্যে এ রকম নির্বাচন করে।'

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দল মতনির্বিশেষে সকলকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, করোনাভাইরাস একটা জাতীয় ও বৈশ্বিক বিপর্যয়। দলমত নির্বিশেষ, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষ সকল মানুষের প্রতি আমরা আবারও আহ্বান জানাচ্ছি-আসুন আমরা এখানে আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে আমাদের সকলের এই মনোভাব সৃষ্টি করা প্রয়োজন যে, আমরা এটাকে মোকাবিলা করি।' তিনি বলেন,জনসমাগম থেকে দুরে থাকা, স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া, মানুষদের সচেতন করে তোলা বিশেষ করে গ্রামে আছেন যারা তাদের বাড়িতে থাকার জন্য দল থেকে বলা হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান রেখে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম বৃদ্ধি করবেন না। মানুষের এই দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেই অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল সরকারের ইচ্ছাকৃত উদাসীনতা ও ব্যর্থতাকে' দায়ী করেন। করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট, চিকিৎসকদের বিশেষ পোষাক সরবরাহ, তাদের প্রশিক্ষণসহ হাসপাতালে এই রোগের আক্রান্তদের স্বাস্থ্য সেবার বিষয়ে সরকারের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তিনি।